কিক অফের আগে: ইংলিশদের সামনে কলম্বিয়ান পরীক্ষা
ইংলিশদের সামনে কলম্বিয়ান পরীক্ষা
ইংল্যান্ড বনাম কলম্বিয়া; শেষ ষোল; ৩(৪) জুলাই, রাত ১২টা; স্পার্টাক স্টেডিয়াম; বিটিভি, মাছরাঙ্গা, টেন ২/৩
প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর বেলজিয়ামের বিপক্ষে হার। তবে গ্রুপ রানার-আপ হওয়া কিছুটা শাপে-বর হয়েই এসেছে ইংল্যান্ডের জন্য। নকআউট পর্বে এড়িয়েছে ব্রাজিল এবং ফ্রান্সের মত দলগুলোকে। আগামীকাল কাজানে শেষ ষোলতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। প্রথম ম্যাচ হারলেও পরের দু’ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে এসেছে কলম্বিয়া। ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল তারা।
তাহারা বলেন
প্রত্যেক টুর্নামেন্টের আগে তাদের নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ার উৎসাহ, উদ্দীপনাটা থাকে মাত্রাতিরিক্ত। কিন্তু প্রায় প্রতিবারই ফিরতে হয় খালি হাতেই। কিন্তু এবার তাদের পারফরম্যান্স অন্যান্য বারের চেয়ে বেশ ভাল। মিডিয়ার উৎসাহ বেড়েই চলেছে তাই। তবে এবার মিডিয়ার এই আস্ফালন নেতিবাচক নয়, বরং ইতিবাচকই হবে বলে মনে করেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট, “মিডিয়ার এই প্রত্যাশা আমাদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক। কারণ ছেলেরা জানে যে তারা দারুণ পারফর্ম করছে এবং লোকে আমাদের সাধুবাদ জানাচ্ছে। আমার মনে হয় না এ কারণে আমরা চাপে ভেঙ্গে পড়ব। আমাদের খেলার ধরনটা এবার বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েই চেষ্টা করব দেশবাসীর মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে। কলম্বিয়া দারুণ এক দল। ৪ বছর আগে তারা দুর্দান্ত খেলেছিল। তাদের দলে দারুণ কিছু ফুটবলার আছে। তবে আমরাও নিজেদের সেরাটাই দিব আজ।”
ইংলিশ মিডিয়ার মতই ‘থ্রি লায়ন্স’দের খেলায় মুগ্ধ কলম্বিয়ান কোচ হোসে পেকারম্যান, “তারা (ইংল্যান্ড) এবার অসাধারণ খেলেছে গ্রুপপর্বে। অবশ্যই তারা প্রশংসার দাবি রাখে। শেষ ষোলতে ফেভারিট বলে কিছু নেই। এবারের বিশ্বকাপে তারা আমাদের চেয়েও ভাল করেছে। তবে আজ ৯০ মিনিটই মূল। আজ যে ভাল খেলবে, সে-ই যাবে শেষ আটে।”
দলের খবর
ইনজুরি কাটিয়ে আজ ইংল্যান্ডের দলে ফিরবেন ড্যালে আলি। পূর্ণশক্তির স্কোয়াডই পাচ্ছেন সাউথগেট। তবে ইংলিশ ম্যানেজারের মত দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন না কলম্বিয়ান কোচ পেকারম্যান। দলের অন্যতম ভরসা হামেস রড্রিগেজের খেলা নিয়ে আছে যথেষ্ট সংশয়। তাকে ছাড়া ইংল্যান্ডকে হারানোটা আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে কলম্বিয়ার জন্য।
সম্ভাব্য মূল একাদশ
ইংল্যান্ড (৩-৪-৩): পিকফোর্ড; ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুইয়ার; ট্রিপিয়ের, ডায়ার, লিনগার্ড, রোজ; স্টার্লিং, কেইন, আলি
কলম্বিয়া (৪-২-৩-১): অসপিনা; আরিয়াস, মিনা, সানচেজ, মোহিকা; আগিলার, সানচেজ; কুয়াদ্রাদো, বারিওস, কুয়েন্তেরো; ফালকাও
সংখ্যায় সংখ্যায়
- কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ৫ ম্যাচে অপরাজিত আছে ইংল্যান্ড।
- হোসে পেকারম্যান কোচ হয়ে আসার পর ইউরোপিয়ান দলগুলোর বিপক্ষে কখনোই হারেনি কলম্বিয়া
- বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে নিজেদের শেষ ৮ ম্যাচে মাত্র ২ বার জিতেছে ইংল্যান্ড
‘প্রথম’ দেখায় বিজয়ী কে?
সুইজারল্যান্ড বনাম সুইডেন; শেষ ষোল; সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম; ৩ জুলাই, রাত ৮টা; বিটিভি, মাছরাঙ্গা, টেন ২/৩
গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্তও পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত ছিল না তাদের। কিন্তু মেক্সিকোকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে এসেছে সুইডেন। প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ডও কম যায় না। ব্রাজিলকে রুখে দেওয়ার পর সার্বিয়াকে হারিয়ে এসেছে পরের রাউন্ডে। সেইন্ট পিটার্সবার্গে আজ তাই দুর্দান্ত এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছে ফুটবলবিশ্ব।
তাহারা বলেন
দক্ষিণ কোরিয়া এবং মেক্সিকোকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে এসেছে তারা। সুইডিশদের সামর্থ্যকে তাই কোনোভাবেই ছোট করে দেখছেন না সুইজারল্যান্ডের কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ, “গ্রুপপর্বে তারা (সুইডেন) দুর্দান্ত খেলেছে। আক্রমণের সাথে রক্ষণটাও বেশ জমাট তাদের। দলে অভিজ্ঞতার সাথে তারুণ্যের মিশেলটা তাদের আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। বিশেষ করে সেটপিসে তারা দারুণ। তবে আমরাও নিজেদের প্রমাণ করেই পরের রাউন্ডে এসেছি।”
পেটকোভিচের মতই প্রতিপক্ষকে যথার্থ সম্মানই দিচ্ছেন সুইডেনের কোচ ইয়ান অ্যান্ডারসন, “সুইজারল্যান্ড ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছিল। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দলকে রুখে দেওয়া কোনো ফেলনা কথা নয়। তবে গ্রুপপর্বে কী হয়েছে, তা এখন আমাদের চিন্তার বিষয় নয়। শেষ ষোলতে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেই জিততে চাই আমরা।”
দলের খবর
শেষ ষোলর লড়াইয়ের আগে পূর্ণশক্তির দলই পাচ্ছেন দুই কোচ।
সম্ভাব্য মূল একাদশ
সুইডেন (৪-৪-২): ওলসেন; লুস্টিগ, লিন্ডেলফ, গ্র্যাঙ্কভিস্ট, অগাস্টিনসন; ক্লাসেন, লারসন, একডাল, ফর্সবার্গ; টৈভোনেন, বার্গ
সুইজারল্যান্ড (৪-২-৩-১): সোমার; লিখস্টেইনার, শার, আকাঞ্জি, রড্রিগেজ; বেহরামি, শাকা; শাকিরি, জেমাইলি, জুবার; সেফেরোভিচ
সংখ্যায় সংখ্যায়
- আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল
- সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ৩ ম্যাচে অপরাজিত সুইডেন
- ১৯৫৪ সালের পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে গোল করতে পারেনি সুইজারল্যান্ড