• কিক অফের আগে
  • " />

     

    কিক অফের আগে: ২৮ বছরের অতৃপ্তি ঘুচবে ইংল্যান্ডের?

    কিক অফের আগে: ২৮ বছরের অতৃপ্তি ঘুচবে ইংল্যান্ডের?    

    ২৮ বছরের অতৃপ্তি ঘুচবে ইংল্যান্ডের?

    ইংল্যান্ড বনাম সুইডেন; কোয়ার্টার ফাইনাল; ৭ জুলাই, রাত ৮টা; সামারা; বিটিভি, মাছরাঙ্গা, টেন ২/৩

     

    ৪ জুলাই, ১৯৯০। পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টিতে হেরে বিদায় নিল ইংল্যান্ড। এরপর বিশ্বকাপ আসল মোট ৬বার। কিন্তু শেষ চারে আর জায়গা করে নেওয়া হয়নি ইংল্যান্ডের। খেলা দিয়েও মন ভরাতে পারেনি কোনোবারই। কিন্তু গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড যেন একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের। বিশ্বকাপে আগের তিনবার যা পারেনি জেরার্ড-ল্যাম্পার্ডরা; তা-ই করে দেখাল কেইন-লিনগার্ডরা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার পেনাল্টিতে জিতল ইংল্যান্ড। মাঠের পারফরম্যান্স দারুণ, সেই সাথে দৃঢ় মানসিকতা- সব মিলিয়ে ইংলিশ ভক্তদের জোর বিশ্বাস; ৫২ বছর পর আবারও ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণশিরোপা নিয়ে উল্লাসে মাতবে ইংলিশরা।

     

    তাহারা বলেন

    প্রথমবার পেনাল্টিতে জেতার পর থেকেই বিশ্বকাপ স্বপ্নে বিভোর পুরো দেশ। উদযাপন-উল্লাসও মাত্রা ছাড়াচ্ছে। । তবে ম্যানেজার সাউথগেট নিশ্চিত করেছেন; পা মাটিতেই আছে তার দলের, “পেনাল্টিতে আমাদের রেকর্ড বেশ খারাপ ছিল। সে হিসেবে কলম্বিয়ার মত দলকে শুটআউটে হারানোর পরে এই মাতামাতি কিছুটা হলেও মেনে নেওয়া যায়। তবে সমর্থকদের এই উদযাপন ছেলেদের প্রভাবিত করছে না একেবারেই। কেউই এখনই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর নয়। সবার মনোযোগ কেবল কালকের ম্যাচ নিয়েই, আর কিছু নয়। আমরা ম্যাচের হিসেবে এগুচ্ছি। দূরের কথা চিন্তা করে অনর্থক চাপ নিচ্ছি না। তারা (সুইডেন) প্রচন্ড গোছানো দল। সুইজারল্যান্ডের মত দলকে হারিয়েছে তারা। তবে আমরা আশাবাদী। কাল নিজেদের সেরাটাই দিতে চাই।”

    সাউথগেটের সাথে সমর্থকদের উদযাপনের ব্যাপারে একমত নন সুইডিশ কোচ ইয়ান অ্যান্ডারসন। তার মতে, এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই পতন ডেকে আনবে তাদের, “প্রতি বিশ্বকাপেই অতিরিক্ত আস্ফালনে মত্ত থাকে তারা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলোয়াড়রা নিজেরাই এসব খবর ছড়াচ্ছে। যা আমাদের জন্য কিছুটা হলেও অসম্মানজনক। তাদের এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। আশা করি কাল আবারও এক দলগত পারফরম্যান্স দিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নেব আমরা।”

     

    দলের খবর

    ইনজুরির কারণে ম্যাচটি মিস করবেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড জেমি ভার্ডি। সেই সাথে অ্যাশলি ইয়ং, ড্যালে আলি এবং কাইল ওয়াকারের খেলা নিয়েও আছে সংশয়। বহিষ্কারাদেশের কারণে সুইডেনের হয়ে থাকছেন না রাইটব্যাক মিকেল লুস্টিগ। অ্যান্ডারসনের দলের বাকি সবাই-ই থাকছেন কাল।

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশ

    ইংল্যান্ড (৩-৫-২): পিকফোর্ড; ম্যাগুয়ের, ওয়াকার, স্টোনস; ট্রিপিয়ের, লিনগার্ড, হেন্ডারসন, লফটাস-চিক, রোজ; স্টার্লিং, কেইন

    সুইডেন (৪-২-৩-১): ওলসেন; ক্রাফিথ, গ্র্যাঙ্কভিস্ট, লিন্ডেলফ, অগাস্টিনসন; ক্লাসেন, একডাল; লারসন, ফর্সবার্গ, বার্গ; টোইভোনেন

     

    সংখ্যায় সংখ্যায়

    • বিশ্বকাপে এর আগে দু’বার দেখা হয়েছে দু’দলের। দুই ম্যাচই ড্র হয়েছিল
    • ১৯৯৪-এর পর এবারই প্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেন
    • নিজেদের শেষ ৮ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে মাত্র ২বার সেমিতে গেছে ইংল্যান্ড

     

     

     

    ক্রোয়েশিয়ার সোনালী প্রজন্মের সামনে স্বাগতিক রাশিয়া

    রাশিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া; কোয়ার্টার ফাইনাল; ৭(৮) জুলাই, রাত ১২টা; ফিশট স্টেডিয়াম; বিটিভি, মাছরাঙ্গা, টেন ২/৩

     

    ইয়াগো আসপাসের শটটা পা দিয়ে দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে দিলেন ইগর আকিনফেভ। নিজেদের মাটিতেই রচিত হল রুশ রূপকথা। এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট স্পেনকে পেনাল্টিতে হারিয়ে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ আটে রাশিয়া। নিজেদের মাঠে আজ তারা মুখোমুখী হবে ক্রোয়েশিয়ার সোনালী প্রজন্মের, খুব সম্ভবত একসাথে যারা খেলছেন নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ।

     

    তাহারা বলেন

    বিশ্বকাপের শুরুতে র‍্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ দল ছিল রাশিয়া। কিন্তু অসাধারণ এক গ্রুপপর্বের পর স্পেনের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে ঠিকই শেষ আটে চলে এসেছে তারা। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি রাশিয়াকে নিয়ে সমালোচনা। এত বড় এক অর্জনের পরও এরকম কানাঘুষায় বেশ চটেছেন রাশিয়ার কোচ স্তানিসলাভ চেরচেশভ, “বিশ্বকাপের আগে আমাদের নিয়ে তেমন উচ্চাশা ছিল না দেশবাসীর। স্বভাবতই অনেক কথাই শুনতে হয়েছে। এবং আমরা সেগুলো মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু কোয়ার্টারে আসার পরও যখন এরকম সমালোচনা শুনতে হত, তখন তা আসলেই হতাশাজনক। গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই সমর্থনযগ্য, কিন্তু আমার মনে হয় ছেলেদের আরও সমর্থন জানানো দরকার রাশিয়ার মানুষদের। ক্রোয়েশিয়া নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত এক দল। কিন্তু নিজেদের মাটিতে আমরা কাউকেই ছেড়ে কথা বলবো না।”

    রাশিয়া স্বাগতিক হলেও নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ দালিচ, “তাদের চেয়ে আমাদের দলে তারকা বেশি। বোঝাপড়াটাও আমাদেরই ভাল। স্বাগতিক হওয়াটাই আমার মতে তাদের একমাত্র ‘প্লাস পয়েন্ট’। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে আমরা নিজেদের সেরাটাই দিয়েছি। কোনো ম্যাচে কোনো কমতি রাখিনি। আশা করি আজও পূর্ণাঙ্গ এক পারফরম্যান্স দিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করব।”

     

    দলের খবর

    ইনজুরির কারণে আজ রাশিয়ার হয়ে ইয়ুরি জিরকভ এবং আলেকজান্ডার সামেদভের খেলা নিয়ে আছে ঘোর সংশয়। পূর্ণশক্তির দলই পাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া।

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশ

    রাশিয়া (৪-২-৩-১): আকিনফেভ; কুতেপভ, ইগ্নাশেভিচ, কুদ্রিয়াশভ, গ্রানাতাত; জবনিন, কুজায়েভ; গলোভিন, ফার্নান্দেজ, চেরিশেভ; জুবা

    ক্রোয়েশিয়া (৪-২-৩-১): সুবাসিচ; ভ্রাসালকো, ভিদা, লভ্রেন, স্ট্রিনিচ; রাকিটিচ, ব্রোজোভিচ; রেবিচ, মদ্রিচ, পেরিসিচ; মানজুকিচ

     

    সংখ্যায় সংখ্যায়

    • স্বাগতিক দল শেষ যে ৫বার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে; প্রতিবারই জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে
    • শুটআউট বাদে ইউরোপের দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ৭ম্যাচ জয়ের দেখা পায়নি রাশিয়া (২ ড্র, ৫ হার)
    • বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ৮ ম্যাচে গোল করেছে ক্রোয়েশিয়া