শিরোপা জিতেই মৌসুম শুরু বার্সার
কিছুক্ষণের মাঝেই বাজবে শেষ বাঁশি। বার্সেলোনা ডাগআউটে এরই মাঝে শিরোপা জয়ের উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই সেভিয়াকে পেনাল্টি উপহার দেন বার্সা কিপার আন্দ্রে টের স্টেগান। যদিও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা বিতর্ক ছিল। ম্যাচে সমতা ফিরয়ে খেলা অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার স্বপ্নে বিভোর সেভিয়া, পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসলেন উইসাম বিন ইয়েদের। তবে সেভিয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো, দারুণভাবে পেনাল্টি ঠেকিয়ে বার্সার জয় নিশ্চিত করলেন স্টেগান। সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৩ তম বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুলল লিওনেল মেসির দল।
অ-ইউরোপিয়ান ফুটবল খেলানো নিয়ে ম্যাচ বয়কটের হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে নামে সেভিয়া। ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল তারাই। ৯ মিনিটের মাথায় সেভিয়াকে এগিয়ে দেন পাবলো সারাবিয়া। লুইস মুরিয়েলের পাসে বক্সের ভেতর বল পেয়ে পিকেকে কাটিয়ে বল জালে জড়ান।
পিছিয়ে পরে বহুবার ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করে বার্সা। মেসির অসাধারণ কিছু পাসে সমতা আনতে পারতেন লুইস সুয়ারেজ, রাফিনহারা। ৩৭ মিনিটে সুয়ারেজের দারুণ এক শট পোস্ট ঘেঁসে চলে যায়। অবশেষে ৪২ মিনিটে সমতা আনে বার্সা, বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মেসির ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসলে বল যায় জেরার্ড পিকের পায়। ছয় গজ দূর থেকে বল জালে জড়ান।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় বার্সা। ৬০ মিনিটে মেসির শট বাঁচিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর উসমান ডেম্বেলের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ৭৭ মিনিটে আবারও মেসিকে হতাশ করেন তিনি।
এরপরই ডেম্বেলের সেই গোল। মেসির বাড়ানো বলে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বুলেট গতির শট বাঁচানোর কোনো উপায়ই ছিল না গোলরক্ষকের সামনে। এই গোলেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সার। শেষ মুহূর্তে সেই পেনাল্টি নাটকে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়লেও শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতেই মৌসুম শুরু করল কাতালানরা। এই জয়ে বার্সার হয়ে রেকর্ড ৩৩ তম শিরোপা জিতলেন মেসি।