ভালভের্দের জায়গায় থাকলে একই কাজই করতেন সিমিওনে
দারুণ এক দৌড়ে বলটা প্রায় বের করেই ফেলেছিলেন আলভারো মোরাতা। সামনে শুধু থিবো কোর্তোয়া, মোরাতার শুধু গোল করার অপেক্ষা। এমন সময় পেছন থেকে এসে মোরাতাকে ট্যাকল করলেন ফেদেরিকো ভালভের্দে। প্রায় নিশ্চিত গোল মিস হলো অ্যাটলেটিকোর, ভালভের্দে দেখলেন লাল কার্ড। কিন্তু ফ্রিকিক থেকে গোল হলো না। ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে জিতল রিয়াল। স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাপ পেল। পরে অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে বলেছেন, ভালভের্দের ওই ট্যাকলটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের। আর তার জায়গায় থাকলেও নিজেও তাই করতেন।
ভালভের্দের ফাউলের সময়টা ছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ দিকে। এরপর রিয়াল দশ জনের দল হয়েছে, কিন্তু স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে অ্যাটলেটিকো সুবিধা করতে পারেনি। টাইব্রেকারে নায়ক হয়েছেন কোর্তোয়া, রিয়াল পেয়েছে ১১তম শিরোপা। কিন্তু ভালভের্দের ওই ট্যাকলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে, ‘ওটা ছিল ম্যাচের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ওর জায়গায় হলে আমিও তা-ই করতাম।’ পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলেছিলেন ভালভের্দে, পরে ওই ম্যাচ বাঁচানো ট্যাকল তো ছিলই। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই। সিমিওনেও উরুগুইয়ান এই মিডফিল্ডারকেই যোগ্য মনে করছেন, ‘আমার মনে হয় ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ওরই প্রাপ্য কারণ ওর ওই চ্যালেঞ্জটাই ম্যাচ জিতিয়েছে।’
ভালভের্দে অবশ্য খুশি নন ট্যাকলটা করে। ম্যাচ শেষে মোরাতার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন, ‘আমি যেটা করেছি সেটা ঠিক ভালো কিছু বলা যাবে না, কিন্তু আমার আর কিছু করার ছিল না। আমি দলকে শিরোপা জেতাতে পেরে খুশি, কিন্তু ওই কাজটার জন্য একটু খারাপ লাগছে আমার। আমি মোরাতার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছি।’
জিনেদিন জিদান পাশে দাঁড়াচ্ছেন ছাত্রের, ‘দিন শেষে ওর যেটা করতে হতো সেটাই করেছে। ফাউলটা ভালো ছিল না, কিন্তু সেটা ওই মুহূর্তে না করে ওর উপায় ছিল না। সে ভালোই করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মোরাতা ওর পরিচিত, ও তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে।’
দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পাওয়ার পর জিদানের এটি ছিল প্রথম শিরোপা।