• অ্যাশেজ
  • " />

     

    চলে গেলেন 'অপরাজেয়' আর্থার মরিস

    চলে গেলেন 'অপরাজেয়' আর্থার মরিস    

    সতীর্থদের পথ ধরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ‘অপরাজেয়’ অজি দলের আরও এক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, দেশটির সবচেয়ে বেশী বয়সী জীবিত ক্রিকেটার ও যে কোন সময়ের অন্যতম সেরা বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আর্থার মরিস আজ শনিবার ৯৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ঐতিহাসিক ‘দ্য ইনভিন্সিবলস’ অস্ট্রেলিয়া দলের আর একজন সদস্যই এখন জীবিত থাকলেন, ৮৬ বছর বয়সী নীল হার্ভে।

     

    সতীর্থ রিচি বেনোর সাথে আর্থার মরিস (বায়ে), ছবিটি ১৯৫৩ সালে তোলা। (গেটি ইমেজেস)

     

    ৯ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪৬ ম্যাচে ৪৬.৪৮ গড়ে মরিসের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৩ হাজার ৫৩৩ রান। ১৯৪৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে একটিও ম্যাচ না হেরে ‘দ্য ইনভিন্সিবল’ খেতাব পাওয়া স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মরিস। তিনটি শতকসহ ওই সফরের টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশী রান সংগ্রাহকও তিনিই ছিলেন।

     

    ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ওয়ালি এডওয়ার্ডস আর্থার মরিসকে ‘অতীতের সাথে আরাধ্য বন্ধন’ অভিহিত করে বলছিলেন, “একজন মহান মানুষ ও অস্ট্রেলিয়ার আক্ষরিক অর্থেই একজন মহান ক্রিকেটার যিনি ছিলেন ক্রিকেটের অনন্য সাধারণ এক যুগের সাথে আমাদের সমৃদ্ধ যোগসূত্র। অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওপেনারদের তালিকায় তাঁর নামটা বরাবরই উপরের দিকে থাকবে।”

     

    স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের চোখে সতীর্থ মরিস ছিলেন ‘স্বকীয় শৈলীর স্বতন্ত্র ব্যাটসম্যান’। আত্মজীবনীমূলক ‘ফেয়ারওয়েল টু ক্রিকেট’ বইয়ে ব্র্যাডম্যান লিখেছিলেন, “সে এমন এক প্রতিভা যাকে অনুকরণ করা সম্ভব নয় এবং কারও সে চেষ্টাও করা উচিৎ নয়। তাঁর ব্যাট ধরার ধরণটাই অস্বাভাবিক।...যেভাবে সে প্যাড থেকে ব্যাট অনেকটা দূরে রেখে কাভার ড্রাইভ করার চেষ্টা করে টেকনিক্যালি সেটা ঠিক না , কিন্তু তাতে তাঁর ভুল কদাচিৎই হয়।”

     

    স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের চোখে ‘স্বকীয় শৈলীর স্বতন্ত্র ব্যাটসম্যান’

     

    সিডনীর নামকরা উপকূলীয় শহরতলী বন্ডিতে ১৯২২ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আর্থার মরিস। তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই দু’ ইনিংসে শতক হাঁকিয়েছিলেন। সেটাও আবার মাত্র ১৮ বছর বয়সে, নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে।

     

    দু’ দফায় অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্ব দেয়া এই কিংবদন্তী ব্যক্তিগত টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২টি করে শতক ও অর্ধশতকের মালিক। আর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দুটো অংকই ৪৬। ১৯৪৯ সালের উইজডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার অস্ট্রেলিয়ার বিংশ শতাব্দীর সেরা একাদশ ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমেও জায়গা করে নেন।

     

    অস্ট্রেলিয়ার বিংশ শতাব্দীর সেরা একাদশের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আর্থার মরিস (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)