• অ্যাশেজ
  • " />

     

    কিছুদিন কেবলই টেস্ট খেলতে চান বেল

    কিছুদিন কেবলই টেস্ট খেলতে চান বেল    

    আভাস দিয়েছিলেন সদ্য সমাপ্ত অ্যাশেজ জিতেই রাজকীয় সাদা জার্সিটা তুলে রাখবেন। কিন্তু ৩-২ ব্যবধানে ঘরের মাঠের অ্যাশেজ জয়ের পর কোচ-অধিনায়কের সাথে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা করে ইংলিশ ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপাতত কেবল রঙিন পোশাকের ক্রিকেটকেই বিদায় জানানোর এবং আরও কিছুদিন টেস্ট খেলে যাওয়ার। ব্রিটিশ দৈনিক মেট্রোয় লেখা এক কলামে এসব তথ্য জানান ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

     

     

    ১৬১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড ৫ হাজার ৪১৬ রান করেছেন বেল। তবে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ দুটো ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা হয় নি তাঁর। ইংরেজদের হয়ে টেস্টও খেলেছেন রেকর্ড ১১৫টি, কেবল ৪ জন ইংলিশম্যানের এরচেয়ে বেশী টেস্ট খেলার রেকর্ড রয়েছে। ৪৩ গড়ে ২২টি শতকসহ পাঁচদিনের ক্রিকেটে তাঁর রানসংখ্যা ৭ হাজার ৫৬৯।

     

    সদ্য সমাপ্ত অ্যাশেজে অবশ্য সময়টা ভালো কাটে নি বেলের। ২৬.৮৭ গড়ে করেছেন ২১৫ রান। এর অর্ধেক রানই আবার বার্মিংহামের এক টেস্টে। তবে ৫মবারের মত অ্যাশেজজয়ী দলের সদস্য থেকে অংশীদার হয়েছেন আরও একটি রেকর্ডের। অ্যাশেজের ১৩৩ বছরের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের হয়ে ৫টি অ্যাশেজের জেতার রেকর্ড আছে আর কেবল দু’জনের, ইয়ান বোথাম ও উইলফ্রেড রোডস।

     

     

    এমন ইতিহাস সৃষ্টির মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখতে চাইছেন না বেল, “নিজের ভিতরটা ঠিক চাইছিল না এখনই টেস্টকে বিদায় জানাতে। পাঁচবার অ্যাশেজ জেতার মুহূর্তটা সত্যিই উপভোগের। তবে এই অবস্থানে আসতে আমাকে কম ত্যাগ স্বীকার করতে হয় নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত একদিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে কিছুদিন পূর্ণ মনোযোগে টেস্ট খেলার।”

     

    বেল বিশ্বাস করেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যান নি, “টেস্টের আঙিনায় আমার এখনও অনেক কিছু দেবার এবং বহু কিছু অর্জনের বাকি আছে। সেটা ব্যক্তিগতভাবেই হোক আর দলগতভাবে।”

     

    তবে কি সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য আছে সামনে? বেলের জবাবটা সোজাসাপ্টাই, “আমাকে অনেকেই জিগ্যেস করছেন প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ছ’বার অ্যাশেজ জিততে চাই কিনা। জবাবটা অবশ্যই ‘হ্যাঁ’। শারীরিকভাবে ফিট থেকে ভালো খেলে যেতে পারলে সন্দেহাতীতভাবে ওটাই হবে আমার লক্ষ্য।”

     

     

    ইংলিশ ব্যাটসম্যান অবশ্য পরবর্তী অ্যাশেজটা জিততে চান প্রতিপক্ষের মাঠেই, “আগামী দু’ বছর অস্ট্রেলিয়া সফরের চেয়ে বেশী আরাধ্য আমার কাছে আর কিছুই হবে না। গত অ্যাশেজে (ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৫-০ ব্যবধানের হার) করা ভুলগুলো সেখানেই শুধরে দেখাতে চাই।”