ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে আরও উঁচুতে মালিঙ্গা

এক বছর পর শ্রীলঙ্কার হয়ে রঙিন পোশাকে ফিরেছিলেন এশিয়া কাপে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই নিয়েছিলেন ২ উইকেট, ম্যাচ শেষ করেছিলেন ৪ উইকেট নিয়ে। তবে বুড়ো হাড়ের ভেলকিটা আরও বাকি ছিল লাসিথ মালিঙ্গার, আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা দেখালেন। ৫ উইকেট নিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। ওয়ানডেতে ৮ বার ৫ উইকেট নিলেন মালিঙ্গা, তাঁর চেয়ে বেশি বার এই কীর্তি আছে মাত্র চার জনের।
প্রথম উইকেটটা মালিঙ্গা পেয়েছিলেন প্রথম ওভারে। স্কোরকার্ডে কোনো রান ওঠার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জো রুটকে। তবে শেষের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন সেরাটা। ইংল্যান্ড যখন ৩০০ রানের স্বপ্ন দেখছে, ৪২তম ওভারে এসে দারুণ এক স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করলেন অউইন মরগানকে। ৯২ রানে মরগান ফিরতি ক্যাচ দিলেন মালিঙ্গাকে। মঈন আলীকে করা পরের বলটা মনে করিয়ে দিয়েছে এশিয়া কাপকে সাকিবকে করা ডেলিভারিটা। বাঁহাতিদের জন্য প্রায় আনপ্লেয়েবল ভেতরের দিকে ঢোকা এক ডেলিভারিতে এলোমেলো করে দিয়েছেন মঈনের স্টাম্প। হ্যাটট্রিকটা আর পাননি, তবে উইকেট পেয়েছেন আরও। ক্রিস ওকসকে দারুণ এক স্লোয়ারে করেছেন এলবিডব্লু, আম্পায়ার আউট না দিলেও পরে রিভিউ নিয়ে পেয়েছেন উইকেট। আর আরও একটি দারুণ ইয়র্কারে ডসনকে আউট করে পেয়েছেন ৫ উইকেট, ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো।
এই পাঁচ উইকেটেই ছাড়িয়ে গেছেন গ্লেন ম্যাকগ্রার সাতবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। মালিঙ্গার সামনেই আছেন শহীদ আফ্রিদি ও ব্রেট লি, দুজনেই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নয়বার করে। মুত্তিয়া মুরালিধরন নিয়েছেন ১০ বার, আর ১৩ বার নিয়ে সবার ওপরে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস।
মালিঙ্গার কীর্তিটা আরও বড় হচ্ছে অন্য একটা পরিসংখ্যানের জন্য। ৩৫ বছর ৪৬ দিনে ৫ উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা, তার চেয়ে বেশি বয়সে এই কীর্তিটা সর্বশেষ করেছেন ওয়াসিম আকরাম, সেই ২০০৩ সালে। এই এক বছর তাঁকে দলের বাইরে রাখার জবাবটা এর চেয়ে ভালোভাবে বোধ হয় আর দিতে পারতেন না!