বৃষ্টি বাধার পরও সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড

চতুর্থ ওয়ানডে, পাল্লেকেলে
টস- ইংল্যান্ড (ফিল্ডিং)
শ্রীলঙ্কা ২৭৩/৭, ৫০ ওভার (ডিকওয়েলা ৫২, শনাকা ৬৬, পেরেরা ৪৪, মইন ২/৫৫, রশিদ ১/৩৬)
ইংল্যান্ড ১৩২/২, ২৭ ওভার (রয় ৪৫, রুট ৩২*, মরগান ৩১*, দনঞ্জয়া ২/২৭) (লক্ষ্য ২৭ ওভারে ১১৫)
ইংল্যান্ড ডিএল পদ্ধতিতে ১৮ রানে জয়ী
এবার শ্রীলঙ্কা ধস বাঁচিয়ে চললো, প্রথমে ব্যাটিং করে ২৭৩ রানের লড়াই করার মতো স্কোরও গড়লো ডিকওয়েলা-শানাকার ফিফটির সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে পেরেরা-দনঞ্জয়ার ব্যাটিংয়ে। তবে ইংল্যান্ডের সহজ জয় আটকাতে পারলো না তারা। বৃষ্টি বাগড়ায় ২৭ ওভারের পরই থেমেছেন ইংল্যান্ড ইনিংস, তার আগেই ডিএল পদ্ধতিতে ১৮ রানের জয় নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে গেছে ইংল্যান্ড, কলম্বোর ম্যাচটা তাই এখন ডেড রাবার।
ব্যাটিংয়ে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে শুরুতে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে আরেকবার শুরুর ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন ক্রিস ওকস। নিরোশান ডিকওয়েলা ও দীনেশ চান্ডিমাল শ্রীলঙ্কাকে ঠিক পথেই রেখেছিলেন। ১৩ রানের ব্যবধানে দুজনকেই ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে দারুণভাবে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তারে ফিরিয়ে এনেছেন মইন। সঙ্গে আদিল রশিদের বোলিং শ্লথ করেছে শ্রীলঙ্কার রান-রেট। আর কুশাল মেন্ডিসের উইকেট শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছিল আরও।
দাশুন শনাকা ও দনঞ্জয়া ডি সিলভার ৫২ রানের জুটিতে আরেকবার প্রাণ পেয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। সমান বলে ৬৬ রান করে রান-আউট হয়েছেন শনাকা, শেষ ওভারে রান-আউট হওয়ার আগে থিসারা পেরেরা করেছেন ৪১ বলে ৪৪ রান। শেষদিকে আকিলা দনঞ্জয়ার ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংসও শ্রীলঙ্কাকে ২৭৩ রানের বেশি তুলতে দেয়নি।
লক্ষ্য যেটাই হোক, ইংল্যান্ডের রান-তাড়ার ধরনটা থাকলো একই। এদিনও আক্রমণাত্মক ছিলেন জ্যাসন রয়, ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারের আগেই উঠেছে ৫২ রান। দনঞ্জয়ার বলে স্টাম্পড হয়ে আউট হওয়ার আগে হেলস করেছেন ১২ রান। জনি বেইরস্টোর চোটে সুযোগ পাওয়া হেলস অবশ্য আরও বেশি কিছু না করতে পারার আক্ষেপে পুড়তেই পারেন। হেলসের পর রয়ও দনঞ্জয়ার শিকার, ৪৯ বলে তিনি করেছেন ৪৫ রান।
জো রুট ও এওইন মরগান একজন আরেকজনের সঙ্গ পেয়ে যোগ করেছেন ৫৬ রান। রুট আউট হতে পারতেন টপ-এজে, তবে বৃত্তের বাইরে বেশি ফিল্ডারের কারণে সেই বল হয়েছে নো। অবশ্য রুট আউট হলেও ডিএলএস পদ্ধতিতে এগিয়ে থাকতো ইংল্যান্ডই।
এ সিরিজের পর তাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে একটিই- বৃষ্টি নাকি ইংল্যান্ড- কার আধিপত্য ছিল বেশি?