• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আবার পাকিস্তানের জয়

    শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আবার পাকিস্তানের জয়    

    স্কোর

    পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৪৮/৬ ( হাফিজ ৪৫, সরফরাজ ৩৪, মিলনে ২/২৮)

    নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৪৬/৬ ( মানরো ৫৮, টেলর ৪২*, হাসান ৩/৩৫)

    পাকিস্তান ২ রানে জয়ী

     

    ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়ার জন্য রস টেলরকে মারতে হতো ছয়। শাহিন আফ্রিদির বলটাও ছিল ছয় মারার মতোই। ফুলটস বলটা কাজে লাগাতে পারলেন না টেলর, মিডঅফের ওপর দিয়ে মারা শট হলো চার, উল্লাসে ভাসল পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর এক শেষ ওভারে ২ রানে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো সরফরাজ আহমেদের দল। এই জয়ে টি-টোয়েন্টিতে টানা সাত ম্যাচ জিতল পাকিস্তান।

    দেড়শর কাছাকাছি রান তুলবেন ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করবেন। গত কয়েক টি-টোয়েন্টিতে এটাই যেন পাকিস্তানের ম্যাচের প্রতিচ্ছবি। কাল কিউইদের বিপক্ষেও ফিরল সেই দেজাভু। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই নিউজিল্যান্ড ওপেনার। ছয় ওভারের মাঝেই ওঠে ৫০ রান। গ্লেন ফিলিপস ১২ রানে ফিরলে ভাঙ্গে ৫০ রানের জুটি।

    কলিন মানরোর ঝড়ো ফিফটি হতাশায় পুড়িয়েছে পাকিস্তানের বোলারদের। ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৪২ বলে ৫৮ রান করেন মানরো। শাদাব খানের বলে আসিফ আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে অবশেষে ফেরেন মানরো। এরপর অল্প রানের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারালে চাপে পড়ে কিউইরা। দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন শুধু টেলরই। ২৬ বলে ৪২ রান করে ম্যাচ নিয়ে যান শেষ ওভারে।

    শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। শাহিন আফ্রিদির সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে দারুণ এক জয়ের আভাস দিয়েছিলেন টিম সাউদি। শেষ বলে ৭ রান লাগত, টেলর ছয় মারলেই ম্যাচ যেত সুপার ওভারে। শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ বল চার হলে ২ রানের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড।

    ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সরফরাজ। শুরুটা একদমই ভালো হয়নি তাদের। ১০ রানেরই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। এরপর আসিফ আলি, মোহাম্মদ হাফিজ ও সরফরাজের ব্যাটে ভর করে লড়াই করার মতো স্কোর দাঁড় করায় পাকিস্তান। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ বলে ৪৫ রান করেন হাফিজ, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের মতো এবারও এরকম পুঁজিই যথেষ্ট হলো তাদের জয়ের জন্য।