• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    পাকিস্তানকে সুযোগ নষ্টের শাস্তি দিয়ে যাচ্ছেন উইলিয়ামসন-নিকোলস

    পাকিস্তানকে সুযোগ নষ্টের শাস্তি দিয়ে যাচ্ছেন উইলিয়ামসন-নিকোলস    

    স্কোর

    চতুর্থ দিন শেষে

    নিউজিল্যান্ড ২৭৪ ও ২৭২/৪ (উইলিয়ামসন ১৩৯*, নিকোলস ৯০*; শাহীন শাহ ২/৫৫, ইয়াসির ২/১০৭)

    পাকিস্তান ৩৪৮

    নিউজিল্যান্ড ১৯৮ রানে এগিয়ে


     

    রিভিউ নিলে আউট হতে পারত, তখন নেয়নি পাকিস্তান। আবার যে দুইটি রিভিউ নিয়েছে, দুইটিই হয়েছে নষ্ট। হাত থেকে ফসকেছে কঠিন ক্যাচের সঙ্গে সহজ ক্যাচও। পাকিস্তানের জন্য আবু ধাবিতে গেছে আজ ভুলে যাওয়ার একটি দিন। আর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেই দিন রাঙিয়ে দিয়ে গেছেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস।  চতুর্থ দিন শেষে কিউইদের লিড হয়ে গেছে ১৯৮। পাকিস্তানের সামনে এখন জয় পরের কথা, ম্যাচ বাঁচানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

    অথচ সকালের শুরুটা হয়েছিল ইয়াসির শাহর বড় অর্জন দিয়ে। নাইটওয়াচম্যান সমারভিলকে আউট করে সবচেয়ে কম টেস্টে ২০০ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির, ভেঙে দিয়েছেন ৮২ বছরের পুরনো একটা রেকর্ড। রস টেলর এসে এরপর ওয়ানডে মেজাজে খেলতে শুরু করেছিলেন, ১৪ বলে করে ফেলেছিলেন ২২ রান। কিন্তু শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বিলাল আসিফকে। ৬০ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, লিড তখনো অনেক দূরের পথ।

    কে জানত, সেই উইকেটই আজকের দিনে পাকিস্তানের সর্বশেষ সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে। আবু ধাবির স্টেডিয়ামে যতই দীর্ঘতর হয়েছে ছায়া, ততই বেড়েছে পাকিস্তানের হতাশা। নিকোলস অবশ্য শুরুতে আউট হতে পারতেন, ৩ রানের সময় ইয়াসির শাহর বল লেগেছিল প্যাডে। সরফরাজ রিভিউ নেননি, কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে নিলে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হতো নিকোলসকে।

    তার চেয়েও বড় মূল্য দিয়েছে পাকিস্তান এরপর। পর পর দুইটি বাজে সিদ্ধান্তে খুইয়েছে দুইটি রিভিউ। এর মধ্যে একবার আউট হয়েও নিকোলস বেঁচে গেছেন রিভিউ নিয়ে। উইলিয়ামসন অবশ্য দারুণ স্বচ্ছন্দ, উইকেটের চার পাশে দেখার মতো সব শট খেলছিলেন। পেসের সঙ্গে স্পিন সামলেছেন দারুণভাবে, ক্রিজ ব্যবহার করে থিতু হতে দেননি ইয়াসিরকে। অন্য পাশ থেকে আলগা বোলিং করে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন বিলাল। দুই পেসারকে খেলেছেন চোখের জন্য প্রশান্তিকর সব কাভার ড্রাইভ।

    এর মধ্যে দুজনের জুটিতে রানও উঠে গেছে ১০০। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে একটু ধৈর্যচ্যুতি উইলিয়ামসনের, প্রথমে ৮০ রানে সহজ সুযোগ দিয়েছিলেন ইয়াসিরকে। স্কয়্যার লেগে ক্যাচটা ধরতে পারেননি ইয়াসির। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে উইলিয়ামসন পেয়েছেন টেস্টে নিজের ১৯তম সেঞ্চুরি। ১০৬ রানে আবার সুযোগ দিয়েছিলেন, এবারও ধরতে পারেননি ইয়াসির।

    তবে কিউই অধিনায়কের দুর্দান্ত ইনিংসের মহিমা তাতে এতটুকু কমছে না। রানের হিসেবে কোহলি, রুট, স্মিথরা হয়তো এগিয়ে গেছেন তাঁর চেয়ে। তবে একটা জায়গায় বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে উইলিয়ামসন। টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাটিং গড় তিন জনের চেয়ে বেশি।

    দিন শেষে নিকোলস চলে গেছেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি, দুজনের জুটিতে উঠে গেছে ২১২ রান। নিউজিল্যান্ডের হাতে আরও ৬ উইকেট, চাইলে তারা নিরাপদ খেলতেই পারে। তবে পাকিস্তানকে শেষ দিনে কত লক্ষ্য দেয়, সেটা নিয়েই এখন কৌতূহল।