দিবা-রাত্রির ম্যাচ দিনেই শেষ করলো ভারত
৫ম ওয়ানডে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০৪, ৩১.৫ ওভার
ভারত ১০৫/১, ১৪.৫ ওভার
ভারত ৯ উইকেটে জয়ী ও সিরিজ ৩-১ এ জয়ী
থিরুবানান্থপুরমের গ্রিনফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের প্রথম ওয়ানডে ছিল এটি। দিবা-রাত্রির ম্যাচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য ভারতের সামনে মধ্যবিরতির নির্ধারিত সময় পর্যন্তও টিকলো না। সিরিজের শেষ ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল জ্যাসন হোল্ডারের দলের। রবীন্দ্র জাদেজার ৪ উইকেটে ১০৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর রোহিত শর্মার ৫৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ভারতের কাছে তারা হেরেছে ৪৬.৪ ওভারের মাঝেই। ৩-১ ব্যবধানে জিতে ঘরের মাটিতে টানা ৬ষ্ঠ ওয়ানডে সিরিজ জিতল ভারত।
মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্নে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, থিরুবানান্থপুরে পিচে বল হোল্ড করলো, ওপরে ওপরে খেলার বাসনা কাল হয়ে দাঁড়ালো ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য। ভুবনেশ্বর কুমারের বেরিয়ে যাওয়া বল কাল হয়েছে কাইরন পাওয়েলের, জাসপ্রিত বুমরাহর ভেতরের দিকে ঢোকা বলে স্টাম্প উড়েছে শেই হোপের।
ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তুলনামূলক ‘সেরা’ সময়টা কেটেছে এরপর, রভম্যান পাওয়েল ও মারলন স্যামুয়েলসের ৩৪ রানের জুটিতে, যা ইনিংসে সর্বোচ্চ। রবীন্দ্র জাদেজাকে এনেছেন এরপর বিরাট কোহলি, স্যামুয়েলসের পর শিমরন হেটমায়ারকেও ফিরিয়েছেন তিনি।
ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, জ্যাসন হোল্ডার, কিমো পল- তিনজনের ইনিংস শেষ হয়েছে তিন বোলারের হাতে- বুমরাহ, খলীল ও কুলদীপ। আবার জাদেজাকে এনেছেন কোহলি, জাদেজা আবার নিয়েছেন জোড়া উইকেট। কেমার রোচ ও ওশান থমাসকে দিয়ে ৪ উইকেট হয়েছে তার। এশিয়া কাপ দিয়ে ওয়ানডে দলে ফেরার পর ৮ ম্যাচে দ্বিতীয়বার ৪ উইকেট নিলেন তিনি।
বোলিংয়ে উইন্ডিজের প্রাপ্তি শুধু থমাসের বোলিং। শিখর ধাওয়ানের একমাত্র উইকেটটি তার, পেতে পারতেন আরও। রোহিতের ক্যাচ স্লিপে ফেলেছেন হোল্ডার, কট-বিহাইন্ড হলেও রোহিত বেঁচে গেছেন বিশাল নো-বল হওয়ায়। এ বছর ১০০০ রান ছুঁয়ে ফেলেছেন রোহিত, এ ইনিংসে ৪ ছয় মেরেছেন, দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ২০০ ছয়ের রেকর্ডও হলো তার।
অন্যদিকে ৩৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি, ভারত জিতেছে ২১১ বল বাকি থাকতেই। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে ভারতের জয়ের রেকর্ডটি ছিল ১০৭ বলের।