শেষ বলে ভারতের স্বস্তির জয়
স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১৮১/৩ ( পোরান ৫৩*, ব্রাভো ৪৩*, চাহাল ২/২৮)
ভারত ২০ ওভারে ১৮২/৪ ( ধাওয়ান ৯২, পান্ট ৫৮, পল ২/৩২)
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
শেষ দুই ওভারে দরকার মাত্র ৮ রান, হাতে ৮ উইকেট। ক্রিজে আছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান। ১৯ তম ওভারেই জয় নিশ্চিত করবে ভারত, মনে হচ্ছিল এমনটাই। কিন্তু শেষ দুই ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচটা শেষ বল পর্যন্ত নিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় পেয়েছে ভারতই, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করেছে রোহিত শর্মারা।
সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল আগের ম্যাচেই। সম্মানের লড়াইয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। শুরুটা ভালোই হয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের। দুই ওপেনার শাই হোপ ও শিমরন হেটমেয়ার ৬ ওভারের মাঝেই তোলেন ৫০ রান। হোপকে ২৪ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন চাহাল। ২৬ রান করা হেটমেয়ারকেও ফেরান তিনিই।
এরপর দিনেশ রামদিনকে নিয়ে জুটি গড়েন ড্যারেন ব্রাভো। ১৫ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে রামদিন ফিরলে ক্রিজে আসেন নিকোলাস পোরান। ব্রাভো-পোরানের চতুর্থ উইকেটের জুটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দেয় বড় সংগ্রহ। পোরান ছিলেন একটু বেশিই মারমুখী, ৪ চার ও ৪ ছয়ে মাত্র ২৫ বলে করেন ৫৩ রান। ২ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ বলে ৪৩ রান করেছেন ব্রাভো। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ব্রাভো-পোরান দুজনই।
১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রানেই রোহিতকে হারায় ভারত। কিমো পলের বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরেছেন রোহিত। ১৭ রান করে ফেরেন লোকেশ রাহুলও। এরপর শিখর ধাওয়ান-ঋশভ পান্টের জুটি ভারতে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। দুজন মিলে যোগ করেন ১৩০ রান। ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৩৮ বলে ৫৮ রান করেন পান্ট। ম্যাচটা শেষ করেই ফিরতে পারতেন, পলের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন। পান্ট যখন ফেরেন, জয়ের জন্য ভারতের দরকার আর ৭ রান। ১৯ তম ওভারে পল দেন মাত্র তিন রান।
শেষ ওভারে দারুণ বল করেছেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। প্রথম চার বলে দিয়েছেন ৪ রান। সেঞ্চুরি থেকে ৮ রান দূরে থাকতে ২০ তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন ধাওয়ান। ১০ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ইনিংসে ৬২ বলে করেছেন ৯২ রান।
শেষ বলে এক রান নিয়ে ভারতকে স্বস্তির জয় এনে দেন মনিশ পান্ডে। সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।