• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ডকেও হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

    নিউজিল্যান্ডকেও হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান    

     

    স্কোর

    পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৬৬/৩ (বাবর ৭৯, হাফিজ ৫৩*, গ্র্যান্ডহোম ২/৪১)

    নিউজিল্যান্ড ১৬.৫ ওভারে ১১৯ ( উইলিয়ামসন ৬০, শাদাব ৩/৩০) 

    পাকিস্তান ৪৭ রানে জয়ী

     

    সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগের ম্যাচেই। পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল আরেকটি হোয়াইটওয়াশ, পূর্ণ হলো সেটাও। অস্ট্রেলিয়ার পর তাদের প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করল সরফরাজ আহমেদের দল। দুবাইতে সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইদের ৪৭ রানের হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা ১১ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল পাকিস্তান।

    হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচতে কেন উইলিয়ামসনদের দরকার ছিল ১৬৭ রান। চার ওভারের মাঝেই ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। এরপর অবশ্য উইলিয়ামসনের ব্যাটে স্বপ্ন দেখছিল নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৮৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন কিউই অধিনায়ক। ৮ চার ও ২ ছয়ে ৩৮ বলে উইলিয়ামসন করেন ৬০ রান।

    যখন মনে হচ্ছিল, উইলিয়ামসনে ভর করেই শেষ ম্যাচ জয়ের পথে এগিয়ে যাবে নিউজিল্যান্ড, তখনই দৃশ্যপটে আসেন শাদাব খান। বাবর আজমের বলে ক্যাচ দিয়ে শাদাবের বলে ফেরেন উইলিয়ামসন। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কিউই ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৮ উইকেট পড়েছে মাত্র তিন ওভার ও ২৩ রানের ব্যবধানে! ৯৬ রানে ২ উইকেট থেকে ১১৯ রানেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড, দুই অংক ছুঁয়েছেন মাত্র তিনজন। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাদাব।

    ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ১১ রান করে ফাখার জামান ফিরলেও বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫৮ বলে ৭৯ করেন বাবর। সেঞ্চুরিটা পেয়েই যাবেন মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে ফেরেন তিনি।

    শেষের দিকে শোয়েব মালিকের ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে পাকিস্তানের স্কোর দাড়ায় ১৬৬। হাফিজ অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে।