• ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা সফর ২০১৮
  • " />

     

    গলে ইংল্যান্ডের গড়বড় হতে দিলেন না ফোকস

    গলে ইংল্যান্ডের গড়বড় হতে দিলেন না ফোকস    

    গল টেস্ট
    প্রথম দিনশেষে
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩২১/৮ (ফোকস ৮৭*, জেনিংস ৪৬, পেরেরা ৪/৭০)


    জ্যাক রাসেল তিনে নেমে করেছিলেন ৯৪, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন আরও তিনজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ১৯৮৮ সালে অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা এই উইকেটকিপারের। ২০০৭ সালে লর্ডসেই ম্যাট প্রায়র করেছিলেন অপরাজিত ১২৭ রান, সে ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন আরও তিন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। স্বীকৃত উইকেটকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকে বেন ফোকসের চেয়ে বেশি রান করেছিলেন এ দুজনই।

    সেই দুইজনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে নামলেন ফোকস। ১০৩ রানে নেই ৫ উইকেট, পাঁচজন ইংলিশ ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন অতি-আক্রমণ করতে গিয়ে। যেন গলে স্পিন-জুজু কাটানোর এটাই উপায়, সেখানে কোনও স্পিনই নেই! ফোকস বিরুদ্ধ স্রোতে হাঁটলেন, সঙ্গী হিসেবে পেলেন জস বাটলার, স্যাম কারান ও আদিল রশিদকে। ফল- প্রথম দিনই ৮ উইকেটে ৩২১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। শেষের শুরুতে জেঁকে বসতে পারেননি রঙ্গনা হেরাথ, এলোমেলো হয়ে গেছেন আকিলা দনঞ্জয়া। বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়ে ৭০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা।

     

    শেষের শুরুতে হেরাথকে অভিবাদন সতীর্থদের

     

    গলের আকাশ মেঘলা ছিল, দুই অভিষিক্ত নিয়ে ইংল্যান্ড নিল ব্যাটিং। ১০ রানেই নেই দুই উইকেট, সুরাঙ্গা লাকমালের পরপর দুই বলে ফিরলেন ররি বার্নস ও মইন আলি। কিটন জেনিংস ও জো রুটের জুটিতে এরপর উঠেছে ৬২ রান। হেরাথকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন রুট। পেরেরার অ্যাঙ্গেল মিস করে স্টাম্প হারিয়েছেন জেনিংসও। পেরেরাকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে অ্যারাউন্ড লেগে বোল্ড হয়েছেন স্টোকস। ১১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।

    তবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং-ডেপথ তখনও গল থেকে ছিটকে যেতে দেয়নি তাদের। ফোকসের সঙ্গে ৬১ রানের জুটির পর বাটলার হয়েছেন পেরেরার তৃতীয় শিকার, কী করবেন সেটা না বুঝে উঠতে পেরে হয়েছেন ইনসাইড-এজড। ফোকসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এরপর কারান। আক্রমণের জন্য বেছেছেন সঠিক বল, মেরেছেন তিন ছয়। অবশ্য আকিলা দনঞ্জয়াকে বড় শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন, তার আগে করেছেন ৪৮ রান। এর আগেই ফিল্ডিংয়ে বাজে অবস্থা শুরু হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার, বেশ কয়েকটা সুযোগও হাতছাড়া করেছে তারা।

    ইংল্যান্ডের ‘স্বীকৃত’ ব্যাটসম্যানদের চেয়ে টেকনিকে আলাদা ছিলেন ফোকস। তেঁড়েফুঁড়ে না গিয়ে অপেক্ষা করেছেন, আগলে রেখেছেন ইংল্যান্ডকে। রুট বা স্টোকস- স্পিনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেকনিকে এগিয়ে থাকা দুজনও যেখানে বোকা বনেছেন, ফোকস সেখানে অপরাজিত এখনও।

    কারানের পর রশিদ নেমে খেলেছেন ৩৮ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও, চার চার ও দুই ছয়ে। গলে আবহাওয়া বাগড়া বাধায়নি শেষ পর্যন্ত, খেলা হয়েছে ৯১ ওভার। দিনশেষে ফোকসের সঙ্গী জ্যাক লিচ, ১৪ রানে।