• ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা সফর ২০১৮
  • " />

     

    ফোকস-মইনে গলের নিয়ন্ত্রণ ইংল্যান্ডের

    ফোকস-মইনে গলের নিয়ন্ত্রণ ইংল্যান্ডের    

    গল টেস্ট
    দ্বিতীয় দিনশেষে
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩৪২ (ফোকস ১০৭, কারান ৪৮, জেনিংস ৪৬, পেরেরা ৫/৭৫, লাকমাল ৩/৭৩) ও ২য় ইনিংস* ৩৮/০
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ২০৩ (ম্যাথিউস ৫২, চান্ডিমাল ৩৩, মইন ৪/৬৬, লিচ ২/৪১)


    ইংলিশ ক্রিকেটারদের কাছে রঙ্গনা হেরাথ গার্ড অব অনার পেলেন ব্যাটিংয়ের সময়। শ্রীলঙ্কার অনেক দিনের পুরোনো সারথীর বিদায়বেলা, তার প্রিয় সাম্রাজ্য গলে। তবে দ্বিতীয় দিনশেষে সেখানে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। বেন ফোকসের ব্যাটিং-কিপিংয়ের সঙ্গে মইন আলির চার উইকেট, জ্যাক লিচ আদিল রশিদের আরও চারটির সঙ্গে দুই পেসারের আঘাতের পর গলে মুচড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এখনই ১৭৭ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড, বাকি আছে সব উইকেট। গলে শ্রীলঙ্কার জন্য এখন হেরাথ-জাদুই প্রয়োজন হবে খুব করে। অবশ্য এরপর দরকার হবে ভাল ব্যাটিং। হোম-কন্ডিশনে ইংল্যান্ডের জন্য পাতা ফাঁদে তো প্রথম ইনিংসে পা দিয়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরাই। দুই বছর ঘরের বাইরে টেস্ট জেতেনি ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কায় জেতাটা তাদের জন্য হবে দারুণ কিছুই। 

    সকালটা ছিল ফোকসের সেঞ্চুরি কেন্দ্রিক। কোনও ইংলিশ কিপার এর আগে এশিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরি করেননি, অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছেন শুধু একজন। ফোকস ৮৭ থেকে ৯১ রানে চার মেরেই গেলেন, তবে তাকে ৯৫ রানে রেখে বিদায় নিলেন জ্যাক লিচ, দিলরুয়ান পেরেরার পঞ্চম শিকার হয়ে। মাঝে জেমস অ্যান্ডারসন পেরেরার ওভার কাটিয়ে দিলেন কোনোমতে। দুই চারে এরপর সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন ফোকস, শেষ পর্যন্ত করেছেন ১০৭ রান।

    শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে এরপর ভাল সময় কাটিয়েছে কম। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে খোঁচা মেরে দিমুথ করুনারত্নে যদি ভুল করেন, সেটা আরও বাড়িয়ে নিলেন রিভিউ নিয়ে। ক্যাচ নিলেন ফোকস। স্যাম কারানের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে কৌশাল সিলভা জবাব দিতে না পেরে এলবিডব্লিউ। স্পিন তখনও আসেনি, শ্রীলঙ্কা বনে গেছে ২ উইকেটে ১০ রানে। 

    স্পিন এলো, জ্যাক লিচ করলেন প্রথম আঘাত। কুশাল সিলভাকে সামনে আনল লিচের লেংথ, স্লিপে গেল ক্যাচ। মইন আলিকে বেশ আড়াআড়ি অবস্থানে গিয়ে সুইপ করতে গিয়ে স্টাম্প হারালেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। শ্রীলঙ্কার এরপর দরকার ছিল হাল ধরার মতো কেউ। দীনেশ চান্ডিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস নিলেন সেই দায়িত্ব। 

    স্পিনে সুইপ করলেন, পেসে ড্রাইভ খেললেন। দুজনের মধ্যে ম্যাথিউস ছিলেন বেশি দৃঢ়। ৭৫ রানের জুটির পর রশিদের বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এলেন চান্ডিমাল, ভুলটা বুঝলেন তখনই। তবে সময় ছিল না আর ফিরে যাওয়ার, ফোকস তার আগেই ভেঙেছেন স্টাম্প। তার আগেই ফিফটি পূর্ণ করেছেন ম্যাথিউস। 

    চা-বিরতিতে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিল ৫ উইকেট নিয়েই। তবে বিরতির পর প্রথম বলেই ভড়কে গেলেন ম্যাথিউস, মইনের বাড়তি বাউন্সে। পা বাড়িয়েও ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না, ব্যাট-প্যাডের ক্যাচটা শর্ট লেগে দারুণভাবে নিলেন কিটন জেনিংস। 

    চান্ডিমাল-ম্যাথিউসের জুটির পর তুলনামূলক একটু ভাল সময়টা শ্রীলঙ্কার গেল এরপর, নিরোশান ডিকওয়েলা ও দিলরুয়ান পেরেরার জুটিতে। ইংলিশদের হতাশ করার মতো করে ৩৫ রান তুললেন, তবে হাল ছাড়েনি অবশ্য ইংল্যান্ড। টসড-আপ ডেলিভারিতে জোরের ওপর মারতে গিয়ে ফিরলেন দুজনই। ডিকওয়েলা মইনের বলে, পেরেরার লিচের বলে। 

    হেরাথ এলেন। তার প্রিয় সুইপ শট খেললেন, রিভার্স সুইপ খেললেন। লাকমালের সঙ্গে যোগ করলেন আরও ২৮ রান। তবে ১৩৯ রানের পিছিয়ে থাকাটা আটকাতে পারলেন না। দিনের শেষ ১২ ওভার এরপর ঠিকঠাকই কাটিয়ে দিলেন ররি বার্নস ও কিটন জেনিংস।