• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    বাবা হয়েই বোল্টের ম্যাচ জেতানো হ্যাটট্রিক

    বাবা হয়েই বোল্টের ম্যাচ জেতানো হ্যাটট্রিক    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৬৬/৯ (টেলর ৮০, লাথাম ৬৮; শাদাব ৪/৩৮, শাহীন শাহ ৪/৪৬)

    পাকিস্তান ৪৭.২ ওভারে ২১৯ (সরফরাজ ৬৪, ইমাদ ৫০; ফার্গুসন ৩/৩৬ বোল্ট ৩/৫৪, ) 

    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৪৭ রানে জয়ী


    প্রথমবার বাবা হয়েছেন মাত্র তিন দিন আগে, সেই আনন্দ নিয়েই এসেছিলেন আরব আমিরাতে। কে জানত, নতুন অতিথি এমন পয়া হয়ে আসবে ট্রেন্ট বোল্টের জন্য? আমিরাতে এসে প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেলেন হ্যাটট্রিক, সেটিও পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে গুড়িয়ে দিয়ে। ম্যাচটা কার্যত ওখানেই হেরে গেছে পাকিস্তান, আগে পরে লড়াই করেও লাভ হয়নি। আবু ধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। এ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ১২টি ওয়ানডেতে জিতল কিউইরা।

    টি-টোয়েন্টি সংস্করণের দুর্দান্ত পাকিস্তান ওয়ানডেতে এসেই যেন খেই হারিয়ে ফেলল কাল। শুরুটা অবশ্য খারাপ হয়নি, ৩৬ রানের মধ্যে শাহীন শাহ আফ্রিদি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার কলিন মানরো ও জর্জ ওয়াকারকে। কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরের জুটিটা ভালোই এগুচ্ছিল, কিন্তু ৪২ রানেই থেমে গেল তা। ২৭ রানে উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে কিউইদের বড় ধাক্কাটা দেন শাদাব খান।

    এরপর রস টেলর ও লাথাম মিলে শুরু করলেন আবার কিউইদের পথে ফেরার। দুজন চতুর্থ উইকেটে যোগ করলেন ১৩০ রান, ৬৮ রানে লাথামের আউটে ভাঙল জুটি। তার আগ পর্যন্তও নিউজিল্যান্ড ২৮০ পর্যন্ত করতে পারে মনে হচ্ছিল। কিন্তু লাথামের আউটের পর দুই রানের মধ্যে নেই ডি গ্র্যান্ডোম, নিকোলস ও সর্বোচ্চ ৮০ রান করা টেলরও। দুই রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ড হারাল ৪ উইকেট। শেষদিকে সাউদির ২০ ও সোধির ২৪ রানের জন্য ২৬৬ রান পর্যন্ত যেতে পারে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান।

    এই রান তাড়া করতে নেমে ৮ রানে বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে যান অফ ফর্মে থাকা ফখর জামান। বোল্টের পরের বলটা ওয়াইড ইয়র্কার, তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন বাবর আজম। হ্যাটট্রিক বলটাতেই সেরা ডেলিভারিটা ডিলেন বোল্ট, ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা লাগল হাফিজের প্যাডে। এলবিডব্লুর আবেদনে সাম্পায়ার সাড়া দিলেন, তৃতীয় কিউই হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক হলো বোল্টের।

    এরপর ইমাম উল হক ও শোয়েব মালিক ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৭১ থেকে ৭৩- এই দুই রানের মধ্যে ফিরে যান ইমাম ও মালিক। ৮৫ রানে যখন শাদাব খানকেও হারিয়ে বসে পাকিস্তান, পরাজয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। এরপর ইমাদ ওয়াসিম ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের ব্যাটে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। সপ্তম উইকেটে দুজন যোগ করলেন ১০৩ রান, পাকিস্তানের জয়ের আশা তখন আবার জাগতে শুরু করেছে। কিন্তু ৬৪ রানে সরফরাজের আউটের সাথে নিভে গেল তাও। শেষ পর্যন্ত ২১৯ রানেই থেমে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। হ্যাটট্রিক হিরো বোল্টই ম্যাচসেরা, তবে হ্যাটট্রিকের আগে পরে আর কোনো উইকেটই পাননি তিনি!