• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    হাফিজের বোলিং অ্যাকশনে টেলরের সন্দেহে ক্ষুব্ধ সরফরাজ

    হাফিজের বোলিং অ্যাকশনে টেলরের সন্দেহে ক্ষুব্ধ সরফরাজ    

     

    ১৮ তম ওভারের শেষ বল করলেন মোহাম্মদ হাফিজ। নির্বিষ বলটা ঠেকিয়ে দিলেন রস টেলর। ঠেকানোর পরেই আম্পায়ার ও ক্রিজের অন্য প্রান্তে থাকা টম লাথামের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে  টেলর বলতে চাইলেন, হাফিজের বোলিং অ্যাকশনে হয়ত কোনো সমস্যা ছিল। এই ঘটনার পরপরই আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সরফরাজ বলছেন, কারো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার টেলরের নেই।

    হাফিজের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকেই সরফরাজের সাথে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়েছে টেলরের। এক পর্যায়ে আম্পায়াররা এসে ব্যাপারটা মধ্যস্থতা করেন। সরফরাজ পরে জানিয়েছেন, টেলরের ওই ইশারা অগ্রহণযোগ্য, ‘টেলর যা করেছেন সেটা মোটেও উচিত হয়নি। টিভির ক্যামেরায় এরকম করাটা তাঁর কাজ না। এটা জঘন্য একটা কাজ হয়েছে। তাঁর কাজ ছিল নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া। আমি এজন্যই আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে টেলরের এটা করা ঠিক হয়নি। এটা সে দুই-তিনবার করেছে। কাজটা আম্পায়ারের, হাফিজের অ্যাকশনে কোনো ত্রুটি ছিল না। সে কোনো কারণ ছাড়াই ইস্যু তৈরির চেষ্টা করেছিল।’

    নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অবশ্য বারবারই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন হাফিজ। ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো সন্দেহের তীর উঠেছিল তাঁর দিকে। ২০১৪ সালে দুইবার তাঁর অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, নিষিদ্ধও হন তিনি। পরে অ্যাকশন শুধরে বোলিংয়ে ফেরেন ২০১৫ সালের এপ্রিলে।

    ফেরার একমাস পরেই আবার আম্পায়াররা তাঁর অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে হাফিজকে। ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বোলিংয়ে ফেরেন হাফিজ। এক বছর না পেরোতেই ২০১৭ সালের অক্টোবরে আবার নিষিদ্ধ হন বোলিং থেকে। এই বছরের এপ্রিলে নতুন করে বোলিংয়ে ফেরেন হাফিজ। কাল আবার তাঁর বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন টেলর।

    খেলা চলার সময় বোলারের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম না। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের স্পিনার সাইদ আজমলের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসন। হাফিজের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অবশ্য শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন টেলর। 'অখেলোয়াড়সুলভ' আচরণের জন্যই হতে পারে এই শাস্তি।