• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    'পয়া ১৩তে' জিতে সিরিজে ফিরল পাকিস্তান

    'পয়া ১৩তে' জিতে সিরিজে ফিরল পাকিস্তান    

     

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২০৯/৯ (টেলর ৮৬*, আফিদি ৪/ ৩৮)

    পাকিস্তান ৪০.৩ ২১২/৪ (ফখর ৮৮, বাবর ৪৬, লকি ৩/৬০)

    পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী

     

    ১৩ সংখ্যাটা হয়ত অনেকের কাছেই ‘অপয়া’। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জন্য সেই ১৩ সংখ্যাটাই হলো ‘পয়া’। কিউইদের বিপক্ষে টানা ১২ ওয়ানডে হারের পর ১৩ম ম্যাচে অবশেষে জয়ের দেখা পেল সরফরাজ আহমেদের দল। আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল পাকিস্তান।

    ২১০ রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনারের সুবাদে শুরুটা ভালোই হয় পাকিস্তানে। ১৩তম ওভারের শুরুতে একটা ধাক্কা খায় পাকিস্তান, লকি ফার্গুসনের বল সজোরে হেলমেটে লাগে ইমাম-উল-হকের। এরপর ভারসাম্য রাখতে না পারায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে জানানো হয়, তিনি সুস্থই আছেন।

    ইমামকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ফখর জামান ও বাবর আজম। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১০১ রান। ১২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ফখর, তাকে ফেরান ফার্গুসন। ১১ চারে সাজান ইনিংসে ৮৮ বলে করেন ৮৮ রান। ফখর ফেরার পর কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান, পরের দুই উইকেট পড়ে অল্প রানের ব্যবধানেই। ৪৬ রানে বাবরকেও আউট করেন ফার্গুসন।

    শেষ পর্যন্ত অবশ্য খুব বেশি বিপদে পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে, ৫৭ বল হাতে রেখেই সহজ জয় পায় তারা। মোহাম্মদ হাফিজ দেখেশুনেই দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। ৩২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। চার ওভারের মাঝেই ২৫ রানে দুই উইকেট হারায় কিউইরা। এরপর জর্জ ওয়ার্কারকে নিয়ে ক্রিজে থিতু হন রস টেলর। ২৮ রান করে ফেরেন ওয়ার্কার। এরপর টম লাথামও ফেরেন ১ রান করে।

    এরপর টেলরকে সঙ্গ দিতে পেরেছেন শুধু হেনরি নিকলসই। টেলর-নিকলস জুটি ৭৫ রান যোগ করলে লড়াই করার মতো স্কোরের আশা দেখছিল নিউজিল্যান্ড। ৩৩ রান করে হাসান আলির বলে নিকলস ফিরলে আবারও চাপে পড়ে কিউইরা।

    নিকলস ফেরার পর একপ্রান্তে দাড়িয়ে থেকে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিল দেখেছেন টেলর। ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কিউইদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, কেন উইলিয়ামসনকে রান আউট করেছেন তিনিই। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম কিংবা সাউদি, ক্রিজে থিতু হতে পারেননি আর কেউই। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি টেলরের। ৩ চার ও এক ছয়ে ১২০ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ছিলেন। ৫০ ওভার ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের ৯ উইকেটে ২০৯ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে না বলেই মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত হয়েছেও সেটাই।