• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ডকে ১৫৩ রানে শেষ করে প্রথম দিনই নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের

    নিউজিল্যান্ডকে ১৫৩ রানে শেষ করে প্রথম দিনই নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের    

    প্রথম টেস্ট, আবুধাবি 
    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ১৫৩ (উইলিয়ামসন ৬৩, নিকোলস ২৮, ইয়াসির ৩/৫৪, আব্বাস ২/১৩, হারিস ২/১১) 
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস* ৫৯/২ (হারিস ২২*, আজহার ২০, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৭) 
    পাকিস্তান ১ম ইনিংসে ৯৪ রানে পিছিয়ে  


    কেন উইলিয়ামসনের ফিফটি, হেনরি নিকোলসের সঙ্গে ৪র্থ উইকেটে ৭২ রানের জুটি ছাড়া আবুধাবিতে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে আছে শুধু ব্যর্থতা। পাকিস্তানের সমন্বিত বোলিং আক্রমণের তোপে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর ১৫৩ রানে গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে এটিই সর্বনিম্ন স্কোর। প্রথমে ব্যাটিং করে এ ভেন্যুতে কোনও দলের হারার রেকর্ড আছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার, ২০১৩ সালে হেরেছিল তারা। নিউজিল্যান্ড সে তালিকায় যুক্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি করেছে প্রথম দিন শেষেই। দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানো পাকিস্তানকে আগলে রেখেছেন আজহার আলি ও হারিস সোহেল, তারা পিছিয়ে এখন ৯৪ রানে। 

    সকালে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। মোহাম্মদ আব্বাস ও ইয়াসির শাহর বোলিং জুটি এর মূল কারণ। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ছেড়ে দিতে দিতেও খোঁচা দিয়ে শুরুটা করেছিলেন জিট রাভাল। টম ল্যাথামও হারিয়েছেন ধৈর্য্য, ইয়াসির শাহকে জোরের ওপর খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন তিনি। শরীর থেকে দূরে ইয়াসিরের লেগস্পিন খেলতে গিয়ে এজড টেইলরও। 

    উইলিয়ামসন-নিকোলসের জুটি এরপরই। শুক্রবার বলে প্রথম সেশনটা ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে লম্বা, ধীরে ধীরে নিজেদেরকে ভাল অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন দুজন। লাঞ্চের পরও ইঙ্গিত ছিল তেমনই। উইলিয়ামসন ফিফটি পেলেন, নিকোলসও দৃঢ়ই ছিলেন। আব্বাসের বাইরের ফুললেংথের বলে ড্রাইভের প্রলোভনে পড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেল নিকোলসের, সব পরিশ্রমও বৃথা গেল সেভাবেই। 

    হাসান আলির মোটামুটি নিরীহ শর্ট বলে বিপত্তি ঘটালেন উইলিয়ামসনও। লেগস্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে হুক করতে গিয়ে ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না, ধরা পড়লেন সরফরাজ আহমেদের হাতে। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের বাঁধ ভেঙে গেল এরপরই। পরের বলেই আউট কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, ব্যাটটা সময়মতো নামাতে না পেরে এলবিডব্লিউ। 

    ৩০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড, ৪২ রানে হারিয়েছে শেষ ৭ উইকেট। হারিস সোহেল এসে পেয়েছেন দুই উইকেট, টার্নের দেখা পাচ্ছিলেন তিনি। তার বলের জবাব ছিল না বিজে ওয়াটলিং ও ইশ সোধির। দুজনই হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ইয়াসির শাহ ও বিলাল আসিফ মিলে ভাগাভাগি করেছেন শেষ ২ উইকেট। এক ওভার করা হাফিজ ছাড়া উইকেট পেয়েছেন তাই পাকিস্তানের বাকি পাঁচ বোলারই। 

    ব্যাটিংয়ে শেষ সেশনটা কাটাতে হতো পাকিস্তানকে, তবে দুই ওপেনারই বিলিয়ে এসেছেন উইকেট। ডি গ্র্যান্ডহোমকে তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ইমাম-উল-হক, ট্রেন্ট বোল্টকে পুল করতে গিয়ে সোজা শর্ট মিড-উইকেটে ধরা পড়েছেন হাফিজ। আজহার ও হারিস অবশ্য নিউজিল্যান্ড ইনিংসের মতো কিছু ঘটতে দেননি এরপর। ম্যাচে ফিরতে হলে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন এখন সেটাই- পাকিস্তান ইনিংসে ধস!