• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    বোল্টরা ফিরিয়ে আনলেন নিউজিল্যান্ডকে

    বোল্টরা ফিরিয়ে আনলেন নিউজিল্যান্ডকে    

    প্রথম টেস্ট, আবুধাবি 
    দ্বিতীয় দিন, স্টাম্পস 
    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ১৫৩ (উইলিয়ামসন ৬৩, নিকোলস ২৮, ইয়াসির ৩/৫৪, আব্বাস ২/১৩, হারিস ২/১১) ও ২য় ইনিংস ৫৬/১
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ২২৭ (বাবর ৬২, আসাদ ৪৩, বোল্ট ৪/৫৪) 


    আবুধাবিতে নতুন দিন, নতুন নিউজিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট ও স্পিনাররা বাবর আজমের ফিফটির পরও পাকিস্তানের লিড আটকে দিয়েছেন ৭৪ রানেই, দিনশেষে ৯ উইকেট নিয়ে তারা পিছিয়ে ১৮ রানে। এ উইকেটে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে ব্যাটিং হওয়ার কথা তুলনামূলক কঠিন, চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানকে তাই রানতাড়ার চাপটাও নিতে হবে সেখানেই। 

    আজহার আলি ও হারিস সোহেল প্রথম সেশনের শুরুটা করেছিলেন ভালই। ইশ সোধির লো-ফুলটসে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে সফট ডিসমিসাল হয়েছেন হারিস। ট্রেন্ট বোল্টকে আনতে একটু দেরি করেছিলেন উইলিয়ামসন, তবে আসার পর থেকেই নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিলেন এই পেসার। আজহার আলিকে আগেই আউট করতে পারতেন, শর্ট মিডউইকেটে জিট রাভাল ক্যাচটা না ফেললে। পরে সেটা পেয়েছেন বিজে ওয়াটলিংয়ের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ধরা দারুণ ক্যাচে। 

    এরপর অবশ্য শীঘ্রই সাফল্য পাননি বোল্ট। তার আগে বাবর ও আসাদ শফিক মিলে গড়েছেন ৮৩ রানের জুটি। এ জুটিতেই লিড পেয়ে গেছে পাকিস্তান, সেটা আরও বাড়বে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে বোল্ট ফিরে এসে ফিরিয়েছেন শফিককে, একটু বেরিয়ে যাওয়া বলটা খেলতে দেরি করে স্টাম্পে ডেকে এনেছেন তিনি, ৪৩ রানে। 

    শফিক-বাবর স্পিনারদের খেলছিলেন ভালভাবেই, সে জুটি ভাঙার পর সফল হয়েছেন প্যাটেল। সরফরাজ আহমেদের নিয়ন্ত্রণহীন সুইপে টেস্টে প্রথম উইকেট পেয়েছেন আজাজ প্যাটেল। তাকে বড় শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন বিলাল আসিফ। ইয়াসির শাহ ও হাসান আলিকে এরপর ফিরিয়েছেন নেইল ওয়াগনার ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। তার আগেই ফিফটি হয়ে গেছে বাবরের। ওয়ানডের দারুণ পারফরম্যান্সটা টেস্টে অনূদিত করতে পারবেন কিনা, বাবরকে নিয়ে সেসব সংশয় যেন মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। 

    আবুধাবির এ উইকেটে লিডটা বেশি না হলেও কম নয়। টম ল্যাথামকে গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে সেটার পক্ষেই কথা বলছিলেন হাসান আলি। রাভাল ও উইলিয়ামসন অবশ্য আর বিপদ ঘটতে দেননি, তাদের জুটিও পেরিয়েছে পঞ্চাশ। উইলিয়ামসনের বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থও হয়েছে পাকিস্তান। 

    আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগেই। তবে এ দিন শেষে মোটামুটি সমতা এখন।