• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    ওয়াগনার আর নিউজিল্যান্ডের 'পাগলাটে' এক ঘন্টা

    ওয়াগনার আর নিউজিল্যান্ডের 'পাগলাটে' এক ঘন্টা    

    ২৪ তারিখ দ্বিতীয় টেস্ট, তবে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট তো ঢুকে গেছে ইতিহাসে। প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানে অল-আউট হয়ে, চতুর্থ ইনিংসে ১৭৫ রানের সম্বল নিয়ে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। অভিষেকে নায়ক বনে গেছেন বাঁহাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেল। তবে নিউজিল্যান্ডের প্রত্যাবর্তনে দারুণ অবদান রেখেছিলেন পেসার নেইল ওয়াগনার, জয় নিশ্চিত হওয়ার আগে করেছেন টানা ১৩ ওভার বোলিং! তখন বুঝতে পারেননি, এখন পিছন ফিরে তাকিয়ে ওয়াগনার বুঝছেন, সেই ঘন্টাখানেকের খেলা কী পাগলাটেই না ছিল! 

    লাঞ্চের আগে আসাদ শফিককে আউট করে বার্তাটা দিয়েছিলেন ওয়াগনার, নিউজিল্যান্ড হাল ছাড়েনি তখনও। ৩৪তম ওভারের আগে ওয়াগনার বোলিংয়ে আসেননি, একবার যখন এলেন, করেই গেলেন এরপর। ৪১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে নাটকীয় ধসে পড়া পাকিস্তান হেরেই বসেছে এরপর। 

     

     

    “প্রচুর অ্যাড্রেনালিন ছিল। একপর্যায়ে গরমও বেড়েছিল অনেক”, বলছেন ওয়াগনার, “এরপর উইকেটের অবস্থা মিলিয়ে ক্লান্তি আসছিল একটু। তবে টানা বোলিং করছি, এই চিন্তা বাদ দিতে হয়েছিল। স্কোরবোর্ডের দিকেও তাকাইনি। টানা ১৩ ওভার বোলিং করেছি, কেউ এসে এটা বলার পরই আসলে ক্লান্তি আসে। এছাড়া সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় অবশ্য (ধকলটা) টের পেয়েছি।” 

    সে ধকল উড়ে গেছে ড্রেসিংরুমে তৃপ্তি আর স্বস্তিতে। ওয়াগনারের ভাষায়, “সত্যি বলতে কী, এটা পরাবাস্তব অনুভূতি। অসাধারণ ঘুরে দাঁড়ানো। আমরা জানতাম, লড়াই চালিয়ে গেলে আমাদের সুযোগ আছে। শেষ ঘন্টাটা আসলে পাগলাটে ছিল।”

    “ড্রেসিংরুমে এরপর যে অনুভূতি, সবার মুখের দিকে তাকিয়ে যে উচ্ছ্বাস, স্বস্তি আর বিস্ময়ের রেশ টের পাওয়া- এটাই আসলে বলে দেয়, আমরা কী পেয়েছি। আজাজ প্যাটেলের মতো একজন প্রথম টেস্টে এসেই এমন একটা অনুভূতির ভাগিদার হলো, এটা দারুণ একটা ব্যাপার। ক্যারিয়ার শুরুর পর অষ্টম টেস্টে গিয়ে আমি প্রথম জিতেছিলাম। জয়ে বিশেষ অবদান রাখার পর তার মুখে যে হাসি ছিল, সেটা আসলে দারুণ একটা ব্যাপার।”