• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    দুবাইয়ে মন্থর দিনে ধৈর্যের লড়াই

    দুবাইয়ে মন্থর দিনে ধৈর্যের লড়াই    

    দুবাই টেস্ট
    প্রথম দিন, স্টাম্পস 
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস* ২০৭/৪ (আজহার ৮১, হারিস ৮১*, গ্র্যান্ডহোম ২/৩১) 


    ৯, ৯, ৮১, ৮১*, ১২, ১৪*- পাকিস্তানের ছয় ব্যাটসম্যানের রানই বলছে চিত্রটা। দুবাইয়ে সারাদিনই নিউজিল্যান্ড বোলাররা ধরে রেখেছিলেন ডিসিপ্লিন, তবে আজহার আলি ও হারিস সোহেলের ব্যাটিং হতাশ করেছে তাদের। ২৫ রানে ২ উইকেট যাওয়ার পর আজহার-হারিসের ১২৬ রানের জুটি প্রথম দিনটা রেখেছে দুই দলের মাঝে সমতায়। আজহার ফিরলেও অপরাজিত আছেন হারিস। 

    টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তানকে শুরুতে চাপে ফেলেছিলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজ তার বলে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ। লাঞ্চের আগে এরপর ১৭.২ ওভারে ৩১ রান তুলেছেন আজহার ও হারিস। 

    দ্বিতীয় সেশনেও অবিচ্ছিন্ন ছিলেন দুজন। বলের দৃঢ়তা কমেছে, আর বেড়েছে নিউজিল্যান্ডের হতাশা। আজহার ফিফটিও পেরিয়েছেন এর আগেই। ২৬৫ বলে দুজনের জুটি ছুঁয়েছে ১০০। দুজনকে আলাদা করা যাবে না, এমন যখন মনে হচ্ছিল, তখনই আরেকবার রান-আউটের কবলে পড়েছেন আজহার। মিড-অফে ঠেলে পড়িমড়ি ছুটেছিলেন আজহার, তবে যতক্ষণে এদিকে অনড় হারিসের দিকে নজর পড়েছে তার, ততক্ষণে দেরি করে ফেলেছেন বড্ড। 

    এরপর অনেক্ষণ ধরে করে যাওয়া শৃঙ্খল বোলিংয়ের পুরষ্কার পেয়েছেন প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের নায়ক স্পিনার আজাজ প্যাটেল। তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে লিডিং-এজড হয়েছেন আসাদ শফিক, ধরা পড়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। 

    বাবর আজমকে নিয়ে দিনের শেষ ঘন্টার বাকি সময়টা পার করেছেন হারিস, সামলেছেন দ্বিতীয় নতুন বলের ওভার সাতেকও।