• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    হারিস-বাবরের সেঞ্চুরির পর ৪১৮ রানে পাকিস্তানের ডিক্লেয়ার

    হারিস-বাবরের সেঞ্চুরির পর ৪১৮ রানে পাকিস্তানের ডিক্লেয়ার    

    দুবাই টেস্ট
    দ্বিতীয় দিনশেষে
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪১৮/৫ ডিক্লে. (হারিস ১৪৭, বাবর ১২৭*, গ্র্যান্ডহোন ২/৪৪) 
    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৪/০* 


    সংযুক্ত আরব আমিরাতে এর আগে টেস্টে এতো কম রানে ডিক্লেয়ার করেনি কোনও দল। পাকিস্তান করলো সেটাই। ৪১৮ রান করার পর হুট করেই এসেছে ডিক্লেয়ারের ঘোষণা, প্রায় দুই দিন ফিল্ডিং করার পর বাকি ব্যাটসম্যানদের অবশ্য ব্যাটিংয়ের ক্লান্তি থেকে রেহাই দিয়েছেন দুই নিউজিল্যান্ড ওপেনার জিট রাভাল ও টম ল্যাথাম। তবে এই টেস্টে পাকিস্তানকে সিরিজে ফেরার সুযোগ না দিতে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের দিতে হবে অসীম ধৈর্যের পরিচয়- হারিস সোহেল ও বাবর আজম যেমন দিয়েছেন এর আগে। 

    সারাদিনে নিউজিল্যান্ড নিতে পেরেছে শুধু হারিসের উইকেটই, যিনি প্রথম শ্রেণিতে তার দীর্ঘতম ইনিংস খেলেছেন। আগেরদিন ৮১ রানে অপরাজিত থাকা হারিস এদিন সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ৩০৯ বলে। লাঞ্চের আগে মাত্র ৬৭ রান তুলেছে পাকিস্তান, এ সময় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক এনেছেন পাঁচজন বোলারকে, যার মধ্যে আছেন তিনিও। তবে হারিস-বাবরের জুটিকে টলাতে পারেননি তারা। 

    দ্বিতীয় সেশনে পাকিস্তান তুলেছে ৮২ রান, ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে চা-বিরতিতে গিয়েছিলেন বাবর আজম। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে ৯৯ রানে আউট হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন, বিরতি থেকে ফিরে পূরণ করেছেন সে আক্ষেপ। ২১৫ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন এই ডানহাতি। 

    গতকাল ৮১তম ওভারে আসাদ শফিকের উইকেট পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড, এরপরেরটি পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭০ ওভারেরও বেশি। ড্যাডি সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে, ৪২১ বল খেলে অবশেষে থেমেছেন হারিস, আর ট্রেন্ট বোল্ট পেয়েছেন দীর্ঘ সময় ভাল বোলিংয়ের পুরস্কার। লেংথ বলে এজড হয়ে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন হারিস। 

    প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন নিউজিল্যান্ড বোলাররা, শুধু উইকেটটাই পাননি তারা। সরফরাজ আহমেদ এসে রানের গতি বাড়ানোর একটু চেষ্টা করেছেন, তবে তাদের ব্যাটিংয়ের ডিক্লেয়ার করার ছাপ ছিল না সেভাবে। ১৬৭তম ওভারের ৫ম বলে উইকেটশুন্য ইশ সোধিকে ছয় মারলেন বাবর আজম, সেটিই হয়ে থাকলো পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের শেষ স্কোরিং শট। 

    পাকিস্তান এর মাধ্যমে অনুসরণ করছে মিসবাহ-উল-হকের আমলের অলিখিত জয়ের রেসিপিই। আগে ব্যাটিং পেলে দুইদিনের মতো ব্যাটিং, এরপর ক্লান্ত প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা। তবে রানটা হয়েছে তুলনামূলক কম। নিউজিল্যান্ড পারবে, পাকিস্তানকে সেই রেসিপি থেকে বিরত রাখতে?