• পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    ইয়াসিরের ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানেই জিতল পাকিস্তান

    ইয়াসিরের ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানেই জিতল পাকিস্তান    

    দুবাই টেস্ট

    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪১৮/৫ ডিক্লে. (হারিস ১৪৭, বাবর ১২৭*, গ্র্যান্ডোম ২/৪৪) 
    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ৯০ (রাভাল ৩১, উইলিয়ামসন ২৮*, ইয়াসির ৮/৪১) ও ২য় ইনিংস* ফলোয়িং-অন)  ১১২.৫ ওভারে ৩১২ টেলর ৮২, নিকোলস ৭৭, ল্যাথাম ৫০; ইয়াসির ৬/১৪৩, হাসান আলী ৩/৪৬)

    ফলঃ পাকিস্তান ইনিংস ও ১৬ রানে জয়ী

    সিরিজ ১-১ সমতায়


    বলটা ট্রেন্ট বোল্টের ব্যাটে চুমু খেয়ে সরফরাজের গ্লাভসে জমা হয়ে পড়তেই ফেটে পড়লেন উল্লাসে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্যও অপেক্ষা করলেন না ইয়াসির শাহ, ছুটে গিয়ে ঝাঁপ দিলেন মাটিতে। ততক্ষণে হয়ে গেছেন পাকিস্তান ফিল্ডারদের উদযাপনের মধ্যমণি। ম্যাচের শেষটাও তিনি রাঙিয়ে দেবেন, তাঁর ইতিহাস ছোঁয়ার ম্যাচে সেটাই যেন ছিল চিত্রনাট্য। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধের পরও ইনিংস ও ১৬ রানেই হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে, দুবাই টেস্ট জিতে পাকিস্তান সিরিজে এনেছে সমতা।

    চতুর্থ দিনে টম ল্যাথাম ও রস টেলরের সকালের জুটিটা টেকেনি বেশিক্ষণ। আগের দিনের সঙ্গে ৬ রান যোগ করার পরেই ফিরে গেছেন ল্যাথাম, ঠিক ফিফটি পূর্ণ করার পর। হাসান আলীর ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা ক্যাটের কানায় লেগে জমা হয়েছে সরফরাজের গ্লাভসে। তবে হেনরি নিকোলসের সঙ্গে রস টেলর হতাশ করে যাচ্ছিলেন ইয়াসিরদের। টেলর আক্রমণাত্মকই ছিলেন, শেষ পর্যন্ত সেটাই তাঁর জন্য কাল হলো। বিলাল আসিফের বলটা সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং হলো না, ফাইন লেগে সহজ ক্যাচটা ধরতে ভুল করলেন না ইয়াসির। ১২৮ রানে ৮২ রানে থেমে গেলেন টেলর, নিউজিল্যান্ডের জন্য ফলো অন তখনও অনেক দূরের পথ।

     

    তবে নিকোলস আর বিজে ওয়াটলিং প্রতিরোধের দেয়ালটা সহজে গুড়িয়ে যেতে দেননি। ১৯৮ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর দুজন আড়াইশ পার করে ফেলেছিলেন। এরপরেই দৃশ্যপটে ইয়াসির, ওয়াটলিংকে এলবিডব্লু করে ভেঙে দিলেন ৫৭ রানের জুটি। এরপর নিকোলস এক প্রান্ত থেকে দেখেছেন সতীর্থদের আসা যাওয়া। হাসান আলীর ভেতরের দিকে ঢোকা বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে গেছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডোম,  ১৩ বলে ১৪ রান করেই ফিরে গেছেন। ইশ সোধি ইয়াসিরের বলে হাস্যকর একটা শট খেলতে গিয়ে হয়ে গেছেন বোল্ড, ২৮৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে নিউজিউল্যান্ড।

    তারপরও নিকোলস প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। টেল এন্ডারদের নিয়ে ফলো অন এড়িয়ে ফেলার আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্ত চা বিরতির পরেই ভেস্তে গেল প্রতিরোধ। আবারও হাসান আলীর ব্রেক থ্রু, এবারও ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বোল্ড নিকোলস। ৭৭ রানে তাঁর ফেরার পর বাকিটা ছিল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ওয়াগনারকে আউট করে ইয়াসির পেয়েছেন ইনিংসে তাঁর পঞ্চম উইকেট, ম্যাচে তাঁর যেটি ১৩তম। সিজদা দিয়েই সেটি উদযাপন করেছেন। আর তিন বল পর বোল্টকে ফিরিয়ে তুলিতে দিয়েছেন শেষ টান। ম্যাচে ইয়াসিরের উইকেট হয়েছে ১৪টি, পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে ১৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি শুধু ছিল ইমরান খানের। এই ইতিহাস গড়তে না পারলেও আরেকটি ইতিহাস্র খুব কাছে ইয়াসির। ৩২ টেস্টেই হয়ে গেছে ১৯৫ উইকেট, সবচেয়ে কম টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার ৮২ বছরের পুরনো (ক্ল্যারি গ্রিমেটের ৩৬ টেস্টে) রেকর্ডটা এখন ভেঙে দেওয়ার মুখে।