• এসিসি এমার্জিং কাপ
  • " />

     

    অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকে হংকংকে হারাল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

    অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকে হংকংকে হারাল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল    

    স্কোর 

    বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৮৬ (মোসাদ্দেক ১০০, জাকির ৪৯, ইয়াসির ৪৫, শান্ত ৩৬; আজাজ ৩/৬১)

    হংকং ৫০ ওভারে ২৫৮/৭ (নিজাকাত ৯২, বাবর ৯১; মোসাদ্দেক ২/২৩, খালেদ ২/৬৯)

    ফল: বাংলাদেশ ২৮ রানে জয়ী


    আরব আমিরাতের কাছে কাল হার দিয়ে শুরু। এসিসি ইমার্জিং কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। হংকংকে ২৮ রানে হারানোর পথে ব্যাটে বলে উজ্জ্বল ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। সেঞ্চুরির পর বল হাতেও নিয়েছেন ২ উইকেট।

    কাগজে কলমে অনূর্ধ্ব ২৩ দল হলেও বাংলাদেশ মোটামুটি শক্তিশালী দলই আছে পাঠিয়েছে ইমার্জিং কাপে। করাচির ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নুরুল হাসান। ৯ রানে মিজানুর রহমানকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান যোগ করেন ৮০ রান। ৮৯ থেকে ৯৯- এই ১০ রানের মধ্যে ফিরে যান শান্ত ও জাকির। এরপর চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোসাদ্দেক। দুজন ১৪.৩ ওভারে যোগ করেছেন ৯০ রান।

    ইয়াসির ৪৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও মোসাদ্দেক অন্য প্রান্তে ছিলেন আগ্রাসী। আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন বড় লক্ষ্যের দিকে। ৪৮.৪ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৮৬ বলে করেছেন ঠিক ১০০ রান। আটটি চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনটি ছয়ও। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৮৬ রানে। ৩ উইকেট নিয়ে হংকংয়ের আইজাজ খান ছিলেন সফলতম বোলার।

    তবে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে আলো ছড়ানো নিজাকাত খান এই লক্ষ্যটাকেও ছোট বানিয়ে ফেলছিলেন। ৭৬ রানের ভেতর অবশ্য ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল হংকং। ওপেনার আইজাজকে খালেদ আহমেদ আউট করার পর রাজ কাপুরকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর নিজাকাত ও বাবর হায়াত তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ১০১ রান। নিজাকাতকে ৯২ রানে ফিরিয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্রেকথ্রু এনে দেন নাঈম হাসান।

    এর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হংকং। ওয়াকাসের রান আউটের পর শহীদ ওয়াসিফকে স্টাম্পড করেন মোসাদ্দেক। ততক্ষণে রান রেটও পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। বাবর যখন ৪৯তম ওভারে গিয়ে ৯১ রানে খালেদের বলে আউট হলেন, ম্যাচের ফল নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেকটাই। শেষ দিকে এহসান খানের ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংসটা পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমিয়েছে।

    এই জয়ের পরও বাংলাদেশ দুই ম্যাচে দুয়ি পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট তালিকার তিনে, রান রেটে পিছিয়ে আছে আমিরাতের চেয়ে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থাকা স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে রোব বার শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।