• এসিসি এমার্জিং কাপ
  • " />

     

    নাটকীয় টাইতে রানার আপ হয়েই সেমিতে বাংলাদেশ

    নাটকীয় টাইতে রানার আপ হয়েই সেমিতে বাংলাদেশ    

    স্কোর

    পাকিস্তান ৫০ ওভারে ২৩৩/৮ (সোহেল ৬৩, তালাত ৫৭*; সাইফ ৩/৫৪, হাসান ২/৪০, নাসুম ২/৫৭)

    বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৩৩/৮ (মুমিনুল ৭৫, মিঠুন ৫৩, সাইফ ১৮*; তালাত ২/৪১)

    ফলঃ ম্যাচ টাই


    এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে কখনো টাই করেনি বাংলাদেশ। ইমার্জিং কাপের ম্যাচটা অবশ্য লিস্ট এ, ওয়ানডের মর্যাদা পাবে না। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত টাই করল বাংলাদেশ। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে পাকিস্তান গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই যাবে পরের পর্বে। রানার আপ হয়ে ওঠায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। অন্য গ্রুপে ভারতকে হারিয়ে রানার আপ হয়েছে আফগানিস্তান, তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। 

    জয়, হার, টাই- বাংলাদেশের জন্য শেষ দুই ওভারে সম্ভব ছিল যে কোনো সমীকরণ। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১৪ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। দুই ব্যাটসম্যান আবুল হাসান রাজু ও সাইফ উদ্দিন সেটিকে সম্ভব বলেই মনা করাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রাজু আউট হয়ে গেলেন। পক্রিজে নাইম হাসান, এই উইকেট গেলে বাংলাদেশের পরাজয়ও হতে পারে। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই তিন রান বাই দিল পাকিস্তান। ওই ওভার থেকে এলো ৭ রান, শেষ ওভারে আরও দরকার ৭ রান।

    একটা বাউন্ডারি হলেই ম্যাচ বাংলাদেশের, আবার পর পর দুই বলে উইকেট নিলে ম্যাচ পাকিস্তানের। প্রথম পাঁচ বলেই ঠিক পাঁচটি সিঙ্গেল নিলেন সাইফ-নাঈম। শেষ বলে দরকার ২ রান। সাইফ এবার নিতে পারলেন এক রানই, ম্যাচ হলো টাই।

    তার আগে পাকিস্তানের ২৩৩ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিলেন মুমিনুল। একটা সময় ২৪ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকে প্রথমে নাজমুল হোসেনকে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়লেন মুমিনুল। কিন্তু পরের ২৩ রানের ভেতর ফিরে যান নাজমুল ও নাসির হোসেন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে মুমিনুল জয়ের দিকে নিয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল।

    কিন্তু দুজন ৭৩ রান তোলার পরেই হুসাইন তালাতের বলে বোল্ড হয়ে যান মুমিনুল। বাংলাদেশের রান তখন ১৮৩, জেতার জন্য ৮ ওভারে দরকার ৫০ রান। কিন্তু দলের ২০১ রানে ৪৫তম ওভারে মিঠুনও আউট হয়ে গেলে সেই লক্ষ্যটা হঠাৎ করেই কঠিন হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সাইফ এক প্রান্ত ধরে রেখেই দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হয়ে গেল টাই।

    অবশ্য পাকিস্তানের ২৩৩ পর্যন্ত যাওয়াটাই একটা সময় অনেক বড় মনে হচ্ছিল। শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাইফ, এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাচ্ছিল পাকিস্তান। ৩৫ রানের ভেতর পড়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত হারিস সোহেলের ৬৩ রানে পথ পায় পাকিস্তান। তবে ১৭৩ রানে ৭ উইকেট হারার পর পাকিস্তান ২৩৩ করতে পারে তালাতের ৪৬ বলে ৫৭ রানের কল্যাণে। বাংলাদেশের হয়ে আবুল হাসান ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।