• এসিসি এমার্জিং কাপ
  • " />

     

    নাসিরের পর সাইফ-জাভেদে বাংলাদেশের জয়

    নাসিরের পর সাইফ-জাভেদে বাংলাদেশের জয়    

     

    স্কোর

    বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৫৭/৯ (নাসির ১০৯*, মুমিনুল ৬১)

    নেপাল ৪২.৩ ওভারে ১৭৪ (দীপেন্দ্র ৫৬, জাভেদ ৪/৪৫, সাইফ ৩/২২)

    ফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ী


     

    প্রথম ম্যাচে দুই অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ও নাসির হোসেনই পথ দেখিয়েছিলেন। ইমার্জিং কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের সঙ্গে এই দুজনই আবার দলের বিপর্যয়ে হাল ধরলেন। তবে ২৫৭ রান করার পর বাংলাদেশের নবীনরাই বল হাতে বাকি কাজটুকু করেছেন। নেপালকে ৮৩ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

    শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাসিরের অপরাজিত ১০৯ রানে বাংলাদেশ করতে পারে ২৫৭। বাংলাদেশের মতো নেপালও শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে, ১৬ রানের ভেতরেই হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। নতুন বলে সাইফ উদ্দিনই বেশি ভুগিয়েছেন, প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। আবুল হাসান রাজুও অন্য প্রান্ত থেকে পেয়েছেন একটি উইকেট।

    এরপরেই একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নেপাল। চতুর্থ উইকেটে দিলীপ নাথ ও দীপেন্দ্র সিং ৯৮ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন। তবে এর পরেই দৃশ্যপটে আছেন রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ। ২৯তম ওভারে দিলীপ নাথকে বোল্ড করার এক ওভার পর ফিরিয়ে দিয়েছেন শারদ বিশ্বকরকেও। পরের ওভারে দীপেন্দ্রকে ফিরিয়ে দিয়ে শেষ করে দিয়েছেন নেপালের বাকি আশাও।

    এদিকে রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেপালের আস্কিং রেটও বাড়ছিল। সপ্তম উইকেটে বিনোদ ভাণ্ডারি ২৩ বলে ৩৩ রান করে একটু চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটা শুধু সান্ত্বনাই হতে পেরেছে। এরপর ভান্ডারিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সাইফ, রাজু পেয়েছেন আরেকটি উইকেট। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অবিনাশ রান আউট হয়ে গেলে ১৭৪ রানেই থেমে গেছে নেপাল। নাসির অবশ্য বল হাতে কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ২৮ রান, ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও অনুমিতভাবে গেছে তাঁর হাতেই।