• এসিসি এমার্জিং কাপ
  • " />

     

    নাসিরের সেঞ্চুরিতেই বিপদ সংকেত এড়াল বাংলাদেশ

    নাসিরের সেঞ্চুরিতেই বিপদ সংকেত এড়াল বাংলাদেশ    

    যখন ক্রিজে এসেছিলেন, ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে বাংলাদেশ। এমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে প্রতিপক্ষ নেপাল আগের দিন পাকিস্তানের সঙ্গে খুব খারাপ করেনি। কিন্তু তাই বলে তাদের সঙ্গে শুরুতেই এমন হোঁচট? কক্সবাজার সাগর পাড়ে কি দশ নম্বর বিপদ সংকেত শুনতে পাচ্ছিল বাংলাদেশ দল? কিন্তু নাসির হোসেন ডুবন্ত নৌকার হাল ধরেছেন দক্ষ মাল্লারর মতো। শুরুতে মুমিনুল হক ছিলেন সারেং, পরে তাঁর কাছ থেকে দায়িত্বটা বুঝে নিয়েছেন নাসিরই। শেষ পর্যন্ত ১১৫ বলে ১০৯ রান করে দলকে এনে দিয়েছেন ২৫৭ রানের পুঁজি।

    অথচ এক সময় এই রানই কত দূরের পথ মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের। সাইফ হাসান ও আজমির আহমেদ আজ আউট হয়ে গেছেন ৮ রানেই। ১৫ রানে আউট মোহাম্মদ মিথুন, শান্তও দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হয়ে গেছেন। তরুণদের বিপর্যয়ে হাল ধরছেন দুই অভিজ্ঞ নাসির-মুমিনুল। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৭৮ রান। মুমিনুলই বেশি আগ্রাসী ছিলেন, ৭৮ বলে করে ফেলেছিলেন ৬১ রান।

     মুমিনুলের বিদায়ের পর আফিফ হোসেন ও  সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে ২৮ ও ২৫ রানের ছোট ছোট দুইটি জুটি গড়ে আবার ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন নাসির। কিন্তু এই দুজনও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল, ২০০ পার করাটাই হবে বড় ব্যাপার। তবে আবুল হাসানকে নিয়ে এরপর আবার ঘুরে দাঁড়ান নাসির।

    কিন্তু নাসিরের সেঞ্চুরি পাওয়া হবে কি না, সেই সংশয় ছিলই। বাংলাদেশের রান ২৫০ পার হওয়ার আশাও তখন ক্ষীণ। ৪৮ ওভার শেষে নাসিরের রান ৯১, বাংলাদেশের ২২৮। ৪৯তম ওভারের নাসির পৌঁছে গেলেন ৯৭ রানে, ওই ওভার থেকে বাংলাদেশ নিল ১৬ রান।

    পরের ওভারের প্রথম বলেই নাসির ছয় মারলেন দীপেন্দ্র সিং অইরিকে, বাংলাদেশও ২৫০ ছুঁয়ে ফেলল। আবুল অবশ্য ওই ওভারেই আউট হয়ে গেছেন, তবে তার আগে ৩০ বলে করেছেন ২৯ রান। নাসির পরে আরেকটি চার মেরেছেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ করতে পেরেছে ২৫৭ রান।