• কোপা দেল রে
  • " />

     

    রিয়াল-অ্যাটলেটিকোর দুইরকম রাত

    রিয়াল-অ্যাটলেটিকোর দুইরকম রাত    

    ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল তাঁরা। রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে কোপা ডেল রের পরের রাউন্ডে যেতে লেগানেসকে তাই অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হতো। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই হয়নি। যদিও নিজেদের মাঠে রিয়ালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে লেগানেস। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সান্তিয়াগো সোলারির দল।

    ইনজুরির কারণে কাল খেলেননি করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল, ছিলেন না লুকা মদ্রিচ ও সার্জিও রামোসও। প্রথমার্ধে খুব বেশি আক্রমণ সাজাতে পারেনি রিয়াল ফরোয়ার্ডরা। লেগানেস শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল রিয়াল রক্ষণভাগকে। ফলটাও আসে দ্রুত, ৩০ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে রিয়াল। বক্সের ভেতর তৈরি হওয়া জটলা থেকে বল পেয়ে দারুণ এক হেডে লেগানেসকে এগিয়ে দেন মার্টিন ব্রাথওয়েট।

    ম্যাচে সমতা আনতে লেগানেসের দরকার ছিল আরও দুই গোল। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া লেগানেস বারবারি হানা দিয়েছে রিয়াল রক্ষণভাগে, তবে দেয়াল হয়ে দাড়িয়ে ছিলে কেইলর নাভাস। ৪০ মিনিটে উনাই বাসতিঞ্জার শট ঠেকিয়ে দেন নাভাস। দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাথওয়েট ও সাবরিন মেরিনোর তিনটি শট বাঁচিয়ে দিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে রাখেন তিনি। ৮৪ ও ৯৪ মিনিটে ব্রাথওয়েট ও ৯৫ মিনিটে মেরিনোর শট ঠেকিয়ে না দিলে হয়ত ম্যাচে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।

    দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল রিয়ালও। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বেশ কয়েকটি শট ঠেকিয়ে দেন লেগানেস গোলরক্ষক। ৬৬ ও ৭৩ মিনিটে গোলের খুব কাছে গিয়েও ফিরেছেন ভিনিসিয়াস। শেষ পর্যন্ত রিয়াল ও লেগানেসের কেউই আর গোলের দেখা পায়নি দ্বিতীয়ার্ধে। ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই কোয়ার্টারে উঠল রিয়াল।

    এদিকে রিয়াল শেষ ষোলর বাধা পার করলেও বাদ পড়েছে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শেষ মুহূর্তে করা অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে জিরোনা। প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। দ্বিতীয় লেগ হয়েছে ৩-৩ গোলে ড্র। ১২ মিনিটে নিকোলা কালিনিচের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। ৩৭ মিনিটে সমতা ফেরান জিরোনার ভ্যালেরি ফার্নান্দেজ। ৫৯ মিনিটে জিরোনাকে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ান স্টুয়ানি। ৬৬ মিনিটে অ্যাটলেটিকোকে ম্যাচে ফেরান অ্যাঞ্জেল কোরেয়া।

    ৮৪ মিনিটে যখন তৃতীয় গোল করেন আতোইন গ্রিজমান, অ্যাটলেটিকোর জয় তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাদের স্তব্ধ করে দিয়ে ৮৮ মিনিটে গোল করেন সেইডু ডম্বিয়া। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ গোলে ড্র হলেও অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে গেল জিরোনা।