• কোপা দেল রে
  • " />

     

    লেভান্তেকে হারিয়েও বার্সার বাদ পড়ার শঙ্কা!

    লেভান্তেকে হারিয়েও বার্সার বাদ পড়ার শঙ্কা!    

    ভুলটা এবার আর করেননি এরনেস্তো ভালভের্দে। আগের লেগে মেসি, সুয়ারেজদের বসিয়ে রাখার পর বার্সেলোনা লেভান্তের মাঠে গিয়ে হেরে এসেছিল ২-১ গোলে। কোপা ডেল রের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে তাই জিততেই হতো বার্সাকে। মেসি, সুয়ারেজর ফিরলেন, বার্সাও পেল ৩-০ গোলের সহজ জয়, যাতে নিশ্চিত হয়ে গেল শেষ আটও। কিন্তু সেতাও ঠিকমতো উদযাপন করতে পারছে না বার্সা, কোপা ডেল রে থেকে যে বাদও পড়ে যেতে পারে তারা!

    ঝামেলাটা শুরু হয়েছে আগের লেগে। ডিফেন্ডার চুমি ব্রানদ্রারিজকে আগের লেগে লেভান্তের বিপক্ষে নামিয়েছিল বার্সা। কিন্তু লেভান্তের অভিযোগ, চুমি ওই ম্যাচ নেমেছেন অবৈধভাবে, তাঁর ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকার কথা। এই মৌসুমে পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখেছেন চুমি, এক ম্যাচ এমনিতেও নিষিদ্ধ থাকার কথা। বার্সা বলছে, বি দলের হয়ে ম্যাচ খেলার পর চুমি সেটি কাটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু লেভান্তের দাবি, মূল দলের হয়ে না খেললে নিষেধাজ্ঞা ওঠে না। লেভান্তে এর মধ্যেই এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছে। যদি লেভান্তের অভিযোগ ঠিক প্রমাণিত হয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মতো বার্সেলোনাও বাদ পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হেরেও লেভান্তে উঠবে শেষ আটে।

    কাল অবশ্য মাঠে বার্সা ছিল দুর্দান্ত। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে গোল পাওয়া মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। মেসির শট একটুর জন্য চলে যায় বাইরে, ভিদালের শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। গোল এসে যায় ৩০ মিনিটে, তাতে অবশ্য আছে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া। মেসির পাস থেকে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন দেম্বেলে। ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন লেভান্তের কাবাকো, কিন্তু দেম্বেলের পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এক মিনিট পরেই বার্সা পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোল। এবারও কারিগর মেসি, এবারও আছে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া। এবার গোলরক্ষক ওয়ান টু ওয়ানে কাট্যে দেম্বেলে শট নিয়েছিলেন। গোলরক্ষক সেটা ঠেকিয়েও দিয়েছিলেন, কিন্তু পায়ে লেগে বলটা উলটো দিক বদলে গড়িয়ে গড়িয়ে ঢুকে যায় জালে।

    বিরতির পরেই কৌতিনহো গোল পেয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআর বাতিল করে দিয়েছে সেটি। ৫৪ মিনিটে মেসি পেয়ে যান নিজের প্রথম গোল। সেমেদোর ক্রস থেকে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন মেসি। বার্সাও জিতেছে ম্যাচটা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্যে কী আছে সেটি জানার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।