সেঞ্চুরির আক্ষেপ, তবুও অস্ট্রেলিয়ার দিন
প্রথম টেস্ট, গ্যাবা
দ্বিতীয় দিন শেষে
শ্রীলংকা ১ম ইনিংস ১৪৪ (ডিকওয়েলা ৬৪, করুনারত্নে ২৪, কামিন্স ৪/৩৯, রিচার্ডসন ৩/২৬) ও ২য় ইনিংস ১৭*/১
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস* ৩২৩ (হেড ৮৪, ল্যাবুশেন ৮১, লাকমল ৫/৭৫, পেরেরা ২/৮৪)
শ্রীলঙ্কা ১৬২ রানে পিছিয়ে
১১৩ ইনিংস। গত অক্টোবরে উসমান খাওয়াজার সেঞ্চুরির পর মোট ১১৩ ইনিংস খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা, মেলেনি সেঞ্চুরির দেখা। গ্যাবায় তিন অঙ্ক দৃষ্টিসীমায় ছিল দুই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান মারনাস ল্যাবুশেন ও ট্রাভিস হেডের। তারা সেঞ্চুরি পাননি, তবে দ্বিতীয় দিনশেষে শ্রীলঙ্কানদের ওপর আধিপত্য বিস্তারের কাজটা এগিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানের লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়া দিনের শেষ বলে পেয়েছে উইকেট, প্যাট কামিন্স খুঁজে পেয়েছেন দিমুথ করুনারত্নের আউটসাইড-এজ। দিন শেষে শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে ১৬২ রানে।
আগেরদিনের স্কোরের সঙ্গে ১০ রান যোগ করতেই এদিন অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ২ উইকেট। মার্কাস হ্যারিস কাট করতে গিয়েছিলেন লাহিরু কুমারাকে, হয়েছেন সফট ডিসমিসাল। সুরাঙ্গা লাকমলের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ন্যাথান লায়ন, ৮২ রানে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল চতুর্থ উইকেট। লাকমল সুইংয়ের দেখা পাচ্ছিলেন তখনোই, অস্ট্রেলিয়াকে চোখ রাঙাচ্ছিল ধস।
বিরুদ্ধস্রোতে দাঁড়িয়ে গেলেন ল্যাবুশেন ও হেড। শুরুতে দুজনের কেউই স্বস্তিতে ছিলেন না, তবে কঠিন সময়টা কঠিন ব্যাটিং করেই পার করেছেন দুজন। পঞ্চম উইকেটে উঠেছে ১৬৬ রান। সেঞ্চুরির আক্ষেপ সঙ্গী করে এরপর ফিরেছেন ল্যাবুশেন, ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে। তার ৮১ রানই ছিল এ গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোর। চা-বিরতির আগে শ্রীলঙ্কার খাতায় গেছে ল্যাবুশেনের উইকেটই।
ল্যাবুশেনকে এরপর ছাড়িয়ে গেছেন হেড, তবে একই আক্ষেপ সঙ্গী তারও। ৮৪ রান করে তিনি এলবিডব্লিউ লাকমলের বলে, রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি। পরের বলেই টিম পেইনের উইকেট শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে রেখেছিল ভালভাবেই। অভিষিক্ত কুরটিস প্যাটারসনের ৩০ রানের ইনিংসের সঙ্গে শেষদিকে মিচেল স্টার্কের ২৬ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ভাল লিডই। এর আগে প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়েছিলেন দুশমন্থ চামিরা। প্যাটারসনের উইকেট দিয়ে লাকমল পূর্ণ করেছেন ইনিংসে পাঁচ উইকেট। ঝাই রিচার্ডসনকে করুনারত্নের ক্যাচ বানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ করেছিলেন দিলরুয়ান পেরেরা। শেষ ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া যোগ করেছে ৫১ রান।
ফ্লাডলাইটে এরপর শ্রীলঙ্কান ওপেনারদের পার করতে হতো ৬ ওভার। থিরিমান্নে খেললেন ১৮ বল, করুনারত্নেও তাই। তবে শেষ বলে গিয়েই ঘটলো বিপত্তি, সে ওভারের শুরু থেকেই দারুণ সেট-আপের পুরস্কার পেলেন কামিন্স।