'ভয়ঙ্কর' কামিন্সে তিনদিনেই শেষ শ্রীলংকা
স্কোর
শ্রীলংকা ১৪৪ ও ৫০.৫ ওভারে ১৩৯/৯ ( থিরিমানে ৩২, ডিকভেলা ২৪; কামিন্স ৬/২৩, রিচার্ডসন ২/১৯)
অস্ট্রেলিয়া ৩২৩
অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৪০ রানে জয়ী
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে তিনিই ধসিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীলংকার ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্স হয়ে উঠলেন আরো ভয়ঙ্কর। কামিন্সের গতির কাছেই হার মানতে বাধ্য হলেন লংকান ব্যাটসম্যানরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে কামিন্সের দশ উইকেট নেয়ার সুবাদেই ব্রিসবেন টেস্টে শ্রীলংকাকে ইনিংস ও ৪০ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই কোনো রান যোগ না করে ফেরেন দিনেশ চান্ডিমাল। কামিন্সের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে প্যাটারসনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। দুই ওভার পর কুশল মেন্ডিসকেও ফেরান কামিন্স। ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো জো বার্নসের হাতে তালুবন্দি হন এক রান করা মেন্ডিস। রোশেন সিলভাও হার মেনেছেন কামিন্সের গতির কাছে। মেন্ডিসের মতোই অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বলে ড্রাইভ করে স্লিপে বার্নসের হাতে ক্যাচ দেন সিলভা, ফেরার আগে করেছেন তিন রান।
দনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিচ্ছিলেন লাহিরু থিরিমানে। দুজনের জুটির সময় মনে হচ্ছিল, হয়ত অস্ট্রেলিয়াকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতেও পারে শ্রীলংকা। সেটা আর হয়নি, রিচার্ডসনের দারুণ এক ইয়র্কারে ভাঙ্গে ডি সিলভার স্টাম্প, ভাঙ্গে ৩৪ রানের জুটিও ।
চা বিরতির পরপরই ৩২ রান করা থিরিমানেকে ফিরিয়ে টেস্টে চতুর্থবারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন কামিন্স। থিরিমানের ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় টিম পেইনের হাতে। থিরিমানে রিভিউও নিয়েছিলেন সাথে সাথে, সেখানে অবশ্য ব্যাটে বল আদৌও লেগেছিল কিনা সেটা খুব বেশি বুঝা যায়নি। তৃতীয় আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এতে যে থিরিমানে খুব একটা খুশি হননি, সেটা প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় তাঁর মুখভঙ্গিই বলে দিচ্ছিল।
প্রথম ইনিংসের মতো এবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আভাস দিয়েছিলেন নিরোশান ডিকভেলা। দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে গড়েন ৩০ রানের জুটি। প্রায় এক ঘণ্টা লড়াই করে অবশেষে হার মানেন ডিকভেলা। ২৪ রান করে রিচার্ডসনের বলে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে হ্যারিসের হাতে ক্যাচ দিলে শ্রীলংকার ইনিংস পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
কামিন্সের ষষ্ঠ উইকেট এসেছে প্যাটারসনের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে। গালিতে দাঁড়ানো প্যাটারসন সুপারম্যানের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে নিয়েছেন পেরেরার ক্যাচ। এতেই ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ম্যাচে দশ উইকেট পেলেন কামিন্স। শেষের দিকে সুরাঙ্গা লাকমলের ২৪ রান শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ উইকেটে ইনজুরির কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি লাহিরু কুমারা, সিরিজও শেষ হয়ে গেছে তাঁর।