হ্যামিল্টনের ভূত তাড়িয়ে ওয়েলিংটনে জিতল ভারত
৫ম ওয়ানডে, ওয়েলিংটন
ভারত ২৫২ অল-আউট, ৪৯.৫ ওভার (রাইডু ৯০, পান্ডিয়া ৪৫, শংকর ৪৫, হেনরি ৪/৩৫, বোল্ট ৩/৩৯)
নিউজিল্যান্ড ২১৭ অল-আউট, ৪৪.১ ওভার (নিশাম ৪৪, উইলিয়ামসন ৩৯, চাহাল ৩/৪১, শামি ২/৩৫, পান্ডিয়া ২/৫০)
ভারত ৩৫ রানে জয়ী ও সিরিজ ৪-১ এ জয়ী
ওয়েলিংটনে যেন ভারতের কাছে ফিরে এসেছিল হ্যামিল্টনের ভূত। ১৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল ভারত, হ্যামিল্টনে ৯২ রানে অল-আউট হওয়ার স্মৃতি তখন ফিরে আসছিল দারুণভাবেই। সেখান থেকে আম্বাতি রাইডুর ৯০ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৫২ পর্যন্ত যাওয়া তারা পরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই দিয়েছে ৩৫ রানে, যুঝভেন্দ্র চাহাল, হারদিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির কৃতিত্বে। আগের ম্যাচটা রেকর্ড ব্যবধানে হারলেও তাই সিরিজে ভারত ব্যবধানটাকে নিয়ে গেছে ৪-১ পর্যন্তই।
টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া ভারত শুরুতেই মুখোমখি হয়েছিল কঠিন কন্ডিশনের। রোহিত শর্মা ও এমএস ধোনি যথাক্রমে ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ দুই ডেলিভারির শিকার হলেও উইকেট বিলিয়ে এসেছেন শুভমান গিল ও শিখর ধাওয়ান। খেই হারানো ভারতের পুনর্গঠনের কাজের শুরুর কাজটা করেছেন অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। রাইডুর সঙ্গে ৯৮ রানের জুটিতে শুরুর দিকে যেন একা খেলছিলেন বিজয়ই। এরপর খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন রাইডু।
দুজনের ভুল বুঝাবুঝিতে শঙ্কর রান-আউট হয়েছেন ৪৫ রানে। রাইডুকে এরপর সঙ্গ দিয়েছেন কেদার যাদব, হেনরির বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৪৫ বলে ৩৪। তার আগেই ফিরেছেন রাইডু, তবে তার আগে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১১৩ বলে করেছেন ৯০, ৮ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছয়ও।
ব্যাটিংয়ে ভারতের কাজ অবশ্য বাকি ছিল তখনও। সেটাই করলেন পান্ডিয়া। টড অ্যাস্টেলকে টানা তিন ছয়সহ দুই চার ও পাঁচ ছয়ে ২২ বলে তিনি করেছেন ৪৫। এক বল বাকি থাকতে অল-আউট হয়ে গেলেও ভারত পেয়ে গেছে তখন লড়াইয়ের মতো স্কোর।
এরপর নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভারতের মতো বাজে না হলেও হয়েছে খারাপই। মোহাম্মদ শামির বলে হেনরি নিকোলস ও কলিন মানরো, আর পান্ডিয়ার বলে এলবিডব্লিউ রস টেইলর- ৩৮ রানেই স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৩ উইকেট।
কেন উইলিয়ামসন অবশ্য করছিলেন ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ, টম ল্যাথামের সঙ্গে। তবে যাদবের বলে ডিপ-মিডউইকেটে ধরা পড়ে শেষ হয়েছে তার ইনিংস। এরপর চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ল্যাথাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
নিউজিল্যান্ড অবশ্য ম্যাচে ছিল তখনও। ছিলেন জেমস নিশাম। মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে ৩২ বলে যোগ করেছিলেন ৪১ রান। তবে মতিভ্রম হয়েছিল তার এরপর। জাদবের বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন, হয়েছিল এলবিডব্লিউর আবেদন। তবে নিশাম তার পা রেখেছিলেন বাইরেই, যেটা দেখতে ভুল করেননি ধোনি। যেন হাওয়া থেকে উইকেটটা বের করে এনেছেন ধোনি- ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে সেটাই।
নিউজিল্যান্ডের লেজ এরপর টেকেনি বেশিক্ষণ। ম্যাট হেনরির ২ ছয়ে ৯ বলে ১৭ রানের ক্যামিও যথেষ্ট হয়নি, ৪৫তম ওভারের প্রথম বলেই গুটিয়ে গেছে তারা।