অকল্যান্ডে ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না নিউজিল্যান্ড
স্কোর
নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (গ্র্যান্ডম ৫০, টেলর ৪২, ক্রুনাল ৩/২৮, খলিল ২/২৭)
ভারত ১৮.৫ ওভারে ১৬২/৩ (রোহিত ৫০, পান্ট ৪০*, ধাওয়ান ৩০; মিচেল ১/১৫)
ফলঃ ভারত ৭ উইকেটে জয়ী
ওয়েলিংটনে রেকর্ড ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল ভারত। অকল্যান্ডে এসে বদলে গেল দৃশ্যপট, এবার নিউজিল্যান্ড পাত্তাই পেল না ভারতের কাছে। ৭ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত।
আগের দিন যেরকম বিধ্বংসী শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড, আজ সেটা আর হয়নি। শুরু থেকেই ভারতের বোলাররা চেপে ধরেছিলেন কিউইদের,। আগের ম্যাচে আলো ছড়ানো টম সেইফের্ট আজ ফিরে গেছেন ১২ বলে ১২ রান করে, স্কোরকার্ডে তখন রান মাত্র ১৫। পাওয়ারপ্লেতেই স্পিনার নিয়ে আসেন রোহিত শর্মা, বাঁহাতি স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ১২ বলে ১২ রান করে ফেরেন কলিন মানরো।
পান্ডিয়ার ষষ্ঠ ওভারেই সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত ম্যাচের, বিস্ময়কর এক সিদ্ধান্তে এলবিডব্লু হলেন ড্যারিল মিচেল। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ওপরেই ভরসা ছিল স্বাগতিকদের, কিন্তু ১৭ বলে ২০ রান করে তিনিও এলবিডব্লু ক্রুনালের বলে। প্রায় ৮ ওভারে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিউইরা পথ প্রায় হারিয়েই ফেলেছে।
এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডোম ক্রিজে এসে পাশা উলটে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন। প্রথম ৬ বলে করলেন ৫ রান, ঝড়টা শুরু করলেন একাদশতম ওভার থেকে। চাহালের পর পর তিন বলে ছয়-চার-ছয় নিলেন, ক্রুনালের পরের ওভারে পর পর দুই বলে মারলেন আরও দুই ছয়। ১৩ ওভারের মধ্যেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলল নিউজিল্যান্ড, ১৭০-১৮০ও খুব দূরে মনে হচ্ছিল না। কিন্তু গ্র্যান্ডোম ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর আর গতি পায়নি কিউই ইনিংস।
রস টেলর ছিলেন, কিন্তু সেভাবে ঝড় তুলতে পারেননি। ৩৬ বলে ৪২ রান করে যখন আউট হয়েছেন, ১৯ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলে ফেলেছে ১৫৩ রান। শেষ ওভারে আরও ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় রান ১৫৮ এর বেশি হয়নি।
অকল্যান্ডের উইকেটে এই রান যথেষ্ট ছিল না কখনোই। ভারতের শুরুটাও হলো দারুণ, পাওয়ারপ্লেতেই ৫০ রান তুলে ফেলল । ২৮ বলে ফিফটি পেলেন রোহিত, ভারত তখন পেয়ে গেছে জয়ের রাস্তা। ফিফটির পরেই অবশ্য আউট হলেন, তার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছয় আর মার্টিন গাপটিলকে ছাড়িয়ে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রানও হয়ে গেছে ভারত অধিনায়কের।
ধাওয়ানও এরপর বেশিক্ষণ থাকেননি, লকি ফার্গুসনের দুর্দান্ত এক বাউন্সারে ফিরলেন ৩১ বলে ৩০ রান করে। ভারত ততক্ষণে ১১ ওভারে তুলে ফেলেছে ৮৮ রান, রান রেট ছিল নাগালেই। বিজয় শঙ্কর ৮ বলে ১৪ রান করে আউট হলেন। তবে ঋষভ পান্ট ফিরলেন কাজ শেষ করেই। ২৮ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থেকে বাউন্ডারি মেরেই জেতালেন দলকে, অন্য প্রান্তে মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ২০ রান করে।