বড় জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো ইংল্যান্ড
স্কোর
ইংল্যান্ড ২৭৭ ও ৩৬১/৫ ডিক্লে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৪ ও ৬৯.৫ ওভারে ২৫২ (চেজ ১০২*, জোসেফ ৩৪; অ্যান্ডারসন ৩/২৭, মঈন ৩/৯৯)
ইংল্যান্ড ২৩২ রানে জয়ী
সিরিজ হারলেও হোয়াইটওয়াশ যে হতে হবে না, আগের দিন জো রুটের সেঞ্চুরি সেটা অনেকটাই নিশ্চিত করেছিল। চতুর্থ দিনে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রতিরোধ গড়তে পেরেছেন শুধু রস্টন চেজই। অ্যান্ডারসন-মঈন আলির দারুণ বোলিংয়ে পুরো একদিনও ব্যাট করতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। সেন্ট লুসিয়াতে সিরিজের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৩২ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে রুটের দল।
তৃতীয় দিনের শেষেই ইংল্যান্ডের লিড দাঁড়িয়েছিল ৪৪৮ রান। চতুর্থ দিনে ইনিংস ঘোষণা করতে তাই খুব বেশি সময় নেননি রুট। ১২২ রান করে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে শর্ট মিড উইকেটে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রুট, তার ফেরার সাথেই ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাড়ায় ৪৮৫ রান।
জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড, ম্যাচ বাঁচাতে হলে ব্যাট করতে হবে টানা দুইদিন। প্রথম ইনিংসে যে দল ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে, তাদের জন্য কাজটা কখনোই সহজ ছিল না। সেটা আরো কঠিন বানিয়ে দিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। নিজের প্রথম তিন ওভারেই অ্যান্ডারসন ফিরিয়েছেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। ক্রেইগ ব্রাথওয়েট আট রান করলেও জন ক্যাম্পবেল ও ড্যারেন ব্রাভো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শাই হোপ-হেটমায়াররাও ক্রিজে থিতু হওয়ার আভাস দিয়েও দ্রুত ফিরেছেন।
স্রোতের বিপরীতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন শুধু চেজই। ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের ব্যবধানটা আরো বড় হতে পারতও, সেটা হতে দেননি চেজ। ইংলিশ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে পেয়েছেন সেঞ্চুরিও।
ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিটা অবশ্য নাও হতে পারতো, সঙ্গী হারিয়েছেন নিয়মিতই। শেষের দিকে কিমার রোচের ২৯ ও আলজারি জোসেফের ৩৪ রানের ইনিংসের সুবাদেই তিন অংক ছোঁয়ার সুযোগ পেয়েছেন চেজ। শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি, ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস থামে ২৫২ রানে।