• ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    ৩২-পেরুনো বয়সে টেস্টের স্বপ্নদুয়ার খুলছে ডেনলির

    ৩২-পেরুনো বয়সে টেস্টের স্বপ্নদুয়ার খুলছে ডেনলির    

    ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে। তিনদিন পর টি-টোয়েন্টিতে। ২০১৯ সালে এসে খুলছে জো ডেনলির টেস্টের স্বপ্নদুয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হচ্ছে এই ডানহাতি ওপেনারের। ৩২ বছর ৩২১ দিন বয়সে ডেনলি পেতে যাচ্ছেন তার টেস্ট ক্যাপ। কিটন জেনিংসের জায়গায় নামবেন তিনি, অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই সেটা নিশ্চিত করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট।

     

     

    সময়ের হিসেবে প্রায় ৮ বছর ৮ মাস বা ৩১৭২ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন ডেনলি, ইংল্যান্ডের শেষ শ্রীলঙ্কা সফরে। টেস্ট দলে ছিলেন, তবে তার আগেই লিয়াম ডওসনের চোটে নেমেছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। ব্যাটিংয়ে সাতে নেমেছিলেন, করেছিলেন ১৭ বলে ২০ রান। তবে চমক দিয়েছিলেন বোলিংয়ে, ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। 

    গত বছর এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ৩০-পেরুনো বয়সে অভিষেক হয়েছিল আরেক ওপেনার মার্ক স্টোনম্যানের। আন্ড্রিউ স্ট্রাউস যাওয়ার পর থেকে অ্যালেস্টার কুকের ওপেনিং সঙ্গী খুঁজতে রীতিমতো হয়রান হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। কুকও গেছেন, তবে তাদের সে সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও। ডেনলি সে ‘সমাধান-তালিকার’ই সর্বশেষ সংযোজন। 

    স্টোনম্যানের আগে ইংল্যান্ডের হয়ে ত্রিশ-পেরুনো বয়সে শেষ অভিষেক হয়েছিল পেসার জন লুইসের। ২০০৬ সালে নটিংহ্যামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেমেছিলেন তিনি। তবে মুত্তিয়া মুরালিধরণে সেই টেস্টে পিষ্ট হওয়া ইংল্যান্ডের হয়ে আর টেস্ট খেলা হয়নি লুইসের। 

    ডেনলির আগে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ যে সাতজনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে ত্রিশ পেরুনো বয়সে, তাদের চিত্রটা অবশ্য ডেনলির জন্য আশাজাগানিয়া নয় খুব একটা। দুইজন হয়ে আছেন “এক টেস্টের বিস্ময়” হয়ে, দুজন খেলেছেন দুইটি করে, একজন তিনটি ও একজন চারটি টেস্ট। সবচেয়ে বেশি ১১টি টেস্ট খেলেছেন স্টোনম্যান। 

    রুট অবশ্য ডেনলিকে আহবান করছেন এই মুহুর্তটা নিজের করে নিতে। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা ডেনলির গল্পটা অবশ্য চমকপ্রদই। 

    ওয়ানডে অভিষেকেই ডেনলি ফিফটি করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ভবিষ্যতের জন্য দারুণ কিছু ভাবা হচ্ছিল তাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল তার ওয়ানডে দলের হয়ে। এর আগে মাঝপথে আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছিল ইংল্যান্ড। কিছুদিন পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি, তবে ট্রট-ডেনলির ওপেনিং জুটিতে ঠিক সন্তুষ্ট ছিলেন না তখনকার কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও অধিনায়ক পল কলিংউড। 

    ডেনলির টি-টোয়েন্টির শুরুটাও ছিল বিভীষিকার মতো, প্রথম দুই ইনিংসেই মেরেছিলেন ডাক। সেবার আরব আমিরাতে ইংল্যান্ড লায়নসের বিপক্ষে একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছিল ইংল্যান্ড। ডেনলি সে ম্যাচে করেছিলেন ৩ বলে ৪, ট্রট করেছিলেন ২৭ বলে ২৪। অন্যদিকে কিসওয়েটার করেছিলেন ৬৬ বলে ৮১, মাইকেল লাম্ব করেছিলেন ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৮। বাংলাদেশ সফরে এরপর ডেনলি এলেন না, এলেন কিসওয়েটার। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতেও ওপেনিং করতে নামলেন লাম্ব-কিসওয়েটার, ইংল্যান্ড জিতল এখন পর্যন্ত তাদের একমাত্র বৈশ্বিক ট্রফি।

    সেই ডেনলি যখন শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টিতে খেললেন, তার মাঝে ইংল্যান্ড খেলে ফেলেছিল ৩৮৪ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এবার ডেনলির সামনে খুলে যাচ্ছে টেস্টের দুয়ারটাও। তবে সময়টা অবশ্য কঠিন যাচ্ছে ইংল্যান্ডের। বার্বাডোজে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৭ রান অল-আউট হয়ে ইংল্যান্ড হেরেছে বড় ব্যবধানে, সিরিজে পিছিয়ে ১-০তে। 

    কঠিন সময়ে ডেনলি পারবেন মুহুর্তটা নিজের করে নিতে?