• ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    রোচ তান্ডবে ৭৭-এ শেষ ইংল্যান্ড

    রোচ তান্ডবে ৭৭-এ শেষ ইংল্যান্ড    

    বার্বাডোজ টেস্ট, দ্বিতীয় দিনশেষে 
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ২৮৯ (হোপ ৫৭, হেটমায়ার ৮১, চেজ ৫৪, অ্যান্ডারসন ৫/৪৬, স্টোকস ৪/৫৯) ও ২য় ইনিংস ১২৭/৬* (ক্যাম্পবেল ৩৩, হেটমায়ার ৩১, মইন ৩/৪১, স্টোকস ২/৩১) 
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৭৭ (জেনিংস ১৭, রোচ ৫/১৭, হোল্ডার ২/১৫)


     

     

     ২৭ বল, ৪ রান, ৫ উইকেট। বার্বাডোজে ইংল্যান্ডের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছেন কেমার রোচ। ফল- প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানেই গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড! যে উইকেটে দুই অধিনায়কই শুরুতে ব্যাটিং করতে চেয়েছেন, সেখানে উইন্ডিজকে ২৮৯ রানে অল-আউট করেও প্রথম ইনিংস ইংল্যান্ড শেষ করেছে ২১২ রানে পিছিয়ে থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নেমেছে উইন্ডিজ ইনিংসেও, ৫২ রানে ০ উইকেট থেকে তারা একসময় পরিণত হয়েছিল ৬১ রানে ৫ উইকেটে। শেষবেলায় শিমরন হেটমায়ারও ফিরেছেন, শেন ডাওরিচের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটির পর। তবে দ্বিতীয় দিনশেষেই দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা এগিয়ে ৩৩৯ রানে, বার্বাডোজে বাঁচতে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে অসাধারণ কিছু। 

    ব্রিজটাউনের উইকেটে পেস দ্বিতীয় দিন বাড়ার সম্ভাবনা ছিল, তবে রোচ-হোল্ডারদের বোলিংয়ে যেন সেটা আরও বেশি হয়ে ধরা দিয়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কাছে। শুরুটা করেছিলেন হোল্ডার, তার পেসে পরাস্ত হয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন কিটন জেনিংস। রোচের বল বার্নস ডেকে এনেছেন স্টাম্পে, ইংল্যান্ডের পিচ্ছিল পথে হাঁটাও শুরু হয়ে গেছে তাতেই। 

    এরপর জনি বেইরস্টো। সিম-আপ ডেলিভারিটা উঠছিল, ছাড়তে গিয়েও পারেননি বেইরস্টো, তার কনুই ছুঁয়ে সেটা ভেঙেছে স্টাম্প। এরপর অধিনায়ক ফিরিয়েছেন অধিনায়ককে- হোল্ডারের বলে দিশেহারা হয়ে পড়া রুট হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ওদিকে রোচ-তান্ডব চলেছেই। রুট চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছিলেন ৪৪ রানে, শীঘ্রই ইংল্যান্ড পরিণত হয়েছে ৪৯ রানে ৭ উইকেটে। 

    বেন স্টোকস হয়েছেন এলবিডব্লিউ, শর্ট বলে আউট সাইড-এজড জস বাটলার, আর তার আগে শর্ট বলে ব্যাট চালিয়ে ডিপ ফাইন লেগের সীমানার ওপর আলজারি জোসেফের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন মইন আলি। 

    ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ বেশ লম্বাই, তবে সেটাও টেকেনি বেশিক্ষণ। জোসেফের বলে আউটসাইড-এজড হয়েছেন ফোকস, কারানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১২ রানের। এরপর রশিদের সঙ্গে কারানের জুটি ১২ রানের, কারানকে ফিরতে হয়েছে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বাউন্সারে গ্লাভড হয়ে। এরপর রশিদকে ফিরিয়েছেন জোসেফ। এ ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের এটি সর্বনিম্ন স্কোর। 

    ইংল্যান্ডকে ফলো-অন করানোর সুযোগ পেয়েছিল উইন্ডিজ, তবে হোল্ডার সেটা করাননি। দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল সেটাকে ঠিক বলেই প্রমাণ করছিলেন। কারান পেস আদায় করতে পারেননি সেভাবে, অ্যান্ডারসনও পাননি তার প্রয়োজনীয় বিরতিটা। ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মইন আলি। ব্রাথওয়েট হয়েছেন এলবিডব্লিউ, ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান ওঠার পর। 

    ক্যাম্পবেল ও হোপ ফিরেছেন স্টোকসের বলে, ১ রানের ব্যবধানে। মাঝে মইনের জোড়া আঘাতে ফিরেছেন ড্যারেন ব্রাভো ও রসটন চেজ। হেটমায়ার আরেকবার আক্রমণ শুরু করেছিলেন, দিনের শেষ বলে তিনি পরিণত হয়েছেন কারানের প্রথম শিকার। 

    দিনের শুরুতে আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ২৫ রান যোগ করে শেষ ২ উইকেট হারিয়েছিল উইন্ডিজ। জেমস অ্যান্ডারসন ৫ উইকেট পেয়েছেন ২৭তম বার, ছাড়িয়ে গেছেন ইয়ান বোথামের ইংলিশ রেকর্ড। 

    সে পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জন্য ঠিকঠাকই ছিল সব। রোচ যে তখনও হাজির হননি!