• ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

    ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের    

    স্কোর 

    ইংল্যান্ড ১৮৭ ও ১৩২

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০৬ এবং ১৭/০ 

    ফলঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী 

    ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ কেমার রোচ


    বার্বাডোজের প্রথম টেস্ট জয়টা হয়তো কেউ ফ্লুক ভেবেও উড়িয়ে দিতে পারে। ২০১২ সালের পর থেকে যে দলের বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ে ছাড়া আর কারও বিপক্ষে সিরিজ জয় নেই, তারা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলে অমন মনে হতেই পারে। তবে অ্যান্টিগা টেস্টে কাল যা হলো, তাতে সেটি বলার আর জো নেই। অ্যান্টিগা টেস্টে ১০ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে অয়েস্ট ইন্ডিজ, হোল্ডারের দল জানান দিয়েছে ক্যারিবিয় ক্রিকেট এখন নতুন ভোরের অপেক্ষায়।

     

     

     

     

    দিনের শুরুতেও বোঝা যায়নি, মাহেন্দ্রক্ষ্ণটা চলে আসবে তৃতীয় দিনেই। ৬ উইকেটে ২৭২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ড্যারেন ব্রাভো ও জেসন হোল্ডার মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন অনেকক্ষণ, কিন্তু হোল্ডারকে ২২ রানে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন অ্যান্ডারসন। রোচকেও তুলে নিয়েছেন অ্যান্ডারসন, মায়ের মৃত্যুর শোক মাথায় নিয়ে খেলতে নামা আলজারি জোসেফ আউট হয়েছেন স্টোকসের বলে। ব্রাভো অবশ্য এক প্রান্ত আগলে পড়ে ছিলেন, শেষ পর্যন্ত ২১৬ বলে তাঁর ৫০ রানের ম্যারাথন ইনিংস শেষ হয়েছে মঈন আলীর বলে স্টাম্পড হয়ে। ৩০৬ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রথম ইনিংসে পেয়ে গেছে ১১৯ রানের বড় লিড।

     

    ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা একদম খারাপ হয়নি, রোচ-গ্যাব্রিয়েলের তোপ সামলে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তুলে ফেলেছিলেন ররি বার্নস ও জো ডেনলি। বার্নসকে আউট করে ব্রেকথ্রুটা দিয়েছেন অধিনায়ক হোল্ডার, ৪৯ রানে জনি বেয়ারস্টোর স্টাম্পও ছত্রখান করে দিয়েছেন হোল্ডারই। এর মধ্যে বল করতে এলেন জোসেফ, শোকটা শক্তিতে পরিণত করেই যেন ঝরাতে শুরু করলেন আগুন। জো রুটের ইনসাইড এজটা আপিলও করেননি, আম্পায়ারও আউট দেননি শুরুতে। হোল্ডার রিভিউ নিলেন, তাতেই কপাল পুড়ল রুটের। জো ডেনলিও জোসেফের শিকার, এবারও কোনো উদযাপন করলেন না ২২ বছর বয়সী এই পেসার। তবে ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন কাঁপছে।

    সেটা ৫৯ রানেই ৫ উইকেট হয়ে যেত, যদি জোসেফের বলে স্লিপে স্টোকসের সহজ ক্যাচটা ক্যাম্পবেল মিস না করতেন। স্টোকস আর বাটলার এরপর প্রতি আক্রমণে একটু মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন। রোচের বলটা ড্রাইভ করতে গিয়ে ১১ রানে বোল্ড হয়ে যান স্টোকস, খানিক পর ৪ রানে মঈন আলীও সেই রোচের বলেই বোল্ড। বেন ফোকস দুইটি চারে শুরু করেছিলেন, ১৩ রানে রোচের বলে হয়ে গেলেন এলবিডব্লু। আর ইংল্যান্ডের শেষ আশা হয়ে থাকা বাটলারও যখন ২৪ রানে ফিরে গেলেন, জয়ের সুবাস প্রবলভাবেই পেল অ্যান্টিগা। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানেই অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড, স্বাগতিকদের সামনে দিয়েছে ১৪ রানের লক্ষ্য। অ্যান্ডারসনের বলে ছয় মেরেই সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছেন ক্যাম্পবলে। ড্রেসিংরুমে তখন হোল্ডার ফেটে পড়েছেন উল্লাস, অ্যান্টিগার কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসের মুখেও চওড়া হাসি। সবই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল সোনালী সেই দিনগুলোর কথা। এই দাপুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে কাল অনেককেই স্মৃতিমেদুর করে তুলেছিল!