ধোনিদের মাঠে 'নির্ভয়ে' যেতে পারবেন মালিঙ্গা-জয়াবর্ধনে
শ্রীলংকা ও তামিলনাড়ুর মাঝে চলতে থাকা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাবটা পড়েছিল ক্রীড়াঙ্গনেও। শ্রীলংকান খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই গত মাসে চেন্নাইয়ান এফসি ও কলম্বো এফসির এএফসি কাপের প্লে অফ ম্যাচও চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আইপিএলেও পিছু ছাড়ছে না সেই ঘটনা। ধারণা করা হয়েছিল, চেন্নাইয়ের মাঠে নাও খেলতে যেতে পারেন এই আইপিএলের একমাত্র লংকান ক্রিকেটার লাসিথ মালিঙ্গা। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই সুপারকিংসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, নির্ভয়েই চেন্নাইয়ে খেলতে আসতে পারবেন মালিঙ্গা। আসতে পারবেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের লংকান কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে ও সানরাইজারস হায়দরাবাদের কোচ মুরালিধরনও।
সাবেক শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট মহিন্দর রাজাপাকসের সাথে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বন্দ্ব চলছিল বহু বছর ধরে। গত কয়েক মাসে সেটা চরমে পৌঁছেছিল। এই অবস্থায় সেখানে লংকান খেলোয়াড়দের খেলতে যাওয়া নিরাপদ হবে না, এটা ভেবেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল চেন্নাই-কলম্বোর এএফসি কাপের ম্যাচ।
সেই ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জেগেছিল আরেকটি প্রশ্নও। দুই মৌসুম পর আইপিএলে ফিরছে চেন্নাই। গ্রুপ পর্বের ম্যাচসহ কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালও হবে তাদের মাঠে। মুম্বাইয়ের কোচ জয়াবর্ধনে, বোলার মালিঙ্গা ও হায়দরাবাদ কোচ মুরালি সেখানে নিরাপত্তা সংকটের কারণে আদৌ যেতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সবাই। এছাড়া আগের সব মৌসুমেই সফরকারি সব দলের লংকান ক্রিকেটারদের তালিকা চেয়ে পাঠাতো চেন্নাই পুলিশ। এবার সেটাও করা হয়নি।
২৬ মার্চ চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে খেলতে যাবে মুম্বাই। মুম্বাই মিরর জানিয়েছে, সেই ম্যাচে মালিঙ্গা নির্ভয়ে মাঠে নামতে পারেন বলেই আশ্বাস দিয়েছে চেন্নাই কর্তৃপক্ষ, ‘মুম্বাই মালিঙ্গা ও জয়াবর্ধনেকে নিয়েই আসতে পারে, নিরাপত্তার কোন ইস্যু নেই।’ তামিলনাড়ুর নেতারাও বলছেন, যেহেতু রাজাপাকসে আর ক্ষমতায় নেই, তাই লংকান ক্রিকেটারদের সাথেও তাদের আর কোন বিরোধ নেই।
চেন্নাই এমন আশ্বস্ত করায় নিশ্চয়ই হাপ ছেড়ে বেঁচেছে মুম্বাই।