আর্চারকে বিশ্বকাপে চান না উড
মাত্র একমাস আগেই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পেসার জোফরা আর্চারের থাকার কথা শোনা যাচ্ছে জোরেশোরেই। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে এখনো অভিষেক না হওয়া আর্চারকে স্কোয়াডে নেওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান ইংলিশ পেসার মার্ক উড। উডের মতে, যে ইংল্যান্ড দলটা এতদিন ধরে ভালো খেলছে, সেটায় পরিবর্তন আনা ঠিক হবে না।
আর্চারকে স্কোয়াডে নিলে বাদ পড়তে পারেন দলের নিয়মিত কোন মুখ। উড এমনটা চান না, ‘হুট করেই যদি নতুন কাউকে দলে নেওয়া হয়, তখন পুরো মোমেন্টামটাই নষ্ট হবে। আর্চার দারুণ একজন ক্রিকেটার, এতে কোন সন্দেহই নেই। আইপিএল, বিগ ব্যাশ ও অন্যান্য টুর্নামেন্টে সে ভালো খেলেছে, চাপও নিতে পারে। তবে তাকে দলে নিলে কি প্লানকেট, উইলি, ওকস ও কারানকে বাদ দেওয়া উচিত হবে? প্লানকেট তিন বছর ধরে আমাদের সেরা বোলার। উইলি, ওকস, কারান আমার খুব ভালো বন্ধু, তারাও অনেক উইকেট নিয়েছে। তাদের যে কেউ বাদ পড়লে ব্যাপারটা খুব খারাপ হবে। আমি নিজেও বাদ পড়তে চাই না!’
১৯৯৬ সালে প্রিমিয়ার লিগে নয় পয়েন্টের লিড নিয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীর্ষে ছিল নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। ওই সময়ই নতুনত্ব আনতে ফস্তিনো আসপ্রিলাকে দলে নেয় তাঁরা। আর এতেই বাধে বিপত্তি, ছন্দপতন হয় নিউক্যাসেলের খেলায়। শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই জেতে শিরোপা।
ইংল্যান্ডকে নিউক্যাসেলের সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিলেন উড, ‘চার বছর ধরে যে দলটা এক নম্বরে আছে, তাদের কী নতুন কাউকে দরকার আছে? কেভিন কিগান নিউক্যাসেলে আসপ্রিলাকে এনেছিলেন, তারপর কী হয়েছিল সেটা নিশ্চয় মনে আছে সবার।’
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড নির্বাচন করতে নির্বাচকদের ঘাম ছুটে যাবে বলেই ধারণা উডের, ‘আর্চারকে দলে না নেওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত। শেষ পর্যন্ত দলে কারা থাকবেন, সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচকদেরই। তবে কাজটা মোটেও সহজ হবে না। প্রথমে তাদের উচিত হবে নিয়মিতদের নেওয়া, এরপর আর্চারের ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। কারণ পাকিস্তানে যদি সে ভালো না খেলে, তাহলে তাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদও দেওয়া যাবে না। তখন নির্বাচকদের মনে হবে, হয়ত তার চেয়ে ভালো কাউকে বাদ দেওয়া হয়েছে।'