• আয়ারল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ ২০১৯
  • " />

     

    প্রস্তুতি ম্যাচেই লেজেগোবরে অবস্থা বাংলাদেশের

    প্রস্তুতি ম্যাচেই লেজেগোবরে অবস্থা বাংলাদেশের    

    আয়ারল্যান্ড এ ৫০ ওভারে ৩০৭/৮ (ম্যাকুলাম ১০২, সিমি ৯১; তাসকিন ৩/৬৬, রুবেল ২/৬৩, আকিব ১/৩০, ফরহাদ ১/৬৬, মিরাজ ১/৪৪)

    বাংলাদেশ ৪২.৪ ওভারে ২১৯ (সাকিব ৫৪, মাহমুদউল্লাহ ৩৭, লিটন ২৬, তামিম ২১; সিমি ৪/৫১)

    ফলঃ আয়ারল্যান্ড এ ৮৮ রানে জয়ী


    একদিকে শেই হোপ আর জন ক্যাম্পবেল যখন আয়ারল্যান্ডের বোলারদের কচুকাটা করছিলেন, ক্যাসল অ্যাভিনিউ থেকে কিছুটা দূরে ভাইনইয়ার্ডে তখন তাসকিনদের শাসন করছিলেন ম্যাককুলামরা। প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পরাজয় বড় কিছু নয়, তবে আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে ৮৮ রানের হারটা বাংলাদেশ একটা সতর্কবার্তা হিসেবে দেখতে পারে। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে যে পরীক্ষা নিরীক্ষা ঠিকঠাক কাজে আসেনি!

    পুরো দল নিয়ে অবশ্য খেলেনি বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান অ্যাঙ্কেলের চোট থেকে সেরে উঠছেন এখনো, মাশরাফি বিন মুর্তজা- সাইফ উদ্দিনরাও বল করেননি আজ। রুবেল হোসেন সেরে উঠে ফিরেছেন, সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ-ফরহাদ রেজারাও। কিন্তু আগামী পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে নিজেদের দাবিটা জানান দিতে পারেননি কেউই। এক সাকিব আল হাসান ছাড়া বোলাররা আর সবাই-ই খাবি খেয়েছেন।

     

     

    সেই কাজটা আসলে করেছেন জেমস ম্যাকুলাম ও সিমি সিং। দুজনেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন এর মধ্যেই, আজকের দলের অনেকেরই সেই অভিজ্ঞতা আছে। তবে কাজের কাজটা করে দিয়েছেন এই দুজনেই। ৩৩ রানে টেক্টরকে তুলে নেন রুবেল, আইরিশদের ৭৯ রানে সাকিব ফেরান শ্যাননকে। তবে এরপর ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নেন ম্যাকুলাম ও সিমি। দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১২৪ রান। ম্যাকুলাম থেমেছেন ১০৩ রান করে, সেই উইকেট রুবেলের। এরপর কিছুটা ধস নামাতে পারে বাংলাদেশ, সিমিও ৯১ রান করে ফিরে যান তাসকিনের বলে। ২৫৬ রানের মধ্যে ৭ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে অষ্টম ও নবম উইকেট জুটি ঘুরে দাঁড়ালে ঠিকই ৩০০ পার করে আইরিশরা।

     

    বাংলাদেশের সবাই ছিলেন বেশ খরুচে,; রুবেল, তাসকিন, ফরহাদ, মিরাজরা সবাই ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি রান দিয়েছেন। এক সাকিব আল হাসানই ১০ ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান। মাশরাফির অনুপস্থিতিতে আজ অধিনায়কও ছিলেন সাকিবই।

    বাংলাদেশের ব্যাটিং অবশ্য মূল ব্যাটসম্যানদের সবাই কমবেশি করেছেন। কিন্তু শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। স্কোরকার্ডে ৫৬ রান ওঠার পরেই তামিম বোল্ড হয়ে যান ৩৩ বলে ২১ রান করে। লিটনও খুব বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি, ৩৯ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। মুশফিকের ২৯ বলে ১১ রানের ধুঁকতে থাকা ইনিংস শেষ হয়েছে ইয়াংয়ের বলে আউট হয়ে। মিঠুনও টেকেননি বেশিক্ষণ, ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন। ৯৭ রানে তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।

    সাকিব শুরু করেছিলেন পালটা আক্রমণ, দ্রুত ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফেলেছিলেন। কিন্তু থেমে গেছেন সেখানেই। বাংলাদেশের রান তখন ১৫৬, ওই রানেই ফিরে গেছেন সাব্বির রহমান। সেটিও কোনো রান না করেই। মাহমুদউল্লাহ ৩৭ রান করে কিছুটা অনুশীলন করে নিয়েছেন। শেষ দিকে ফরহাদের ১৫ আর তাসকিনের ১৪ রান হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে শুধু। তবে মাশরাফি বা সাকিব, কারোরই তাতে খুশি হওয়ার খুব একটা কারণ নেই!