• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: বার্সেলোনা-লিভারপুল ম্যাচে কে কত?

    প্লেয়ার রেটিং: বার্সেলোনা-লিভারপুল ম্যাচে কে কত?    

    লিভারপুল

     

    অ্যালিসন বেকার ৯/১০

    অসাধারণ ছিলেন পুরোটা ম্যাচ। মেসি ,আলবা, কুতিনিয়োর তিনটি গোল ফিরিয়েছেন দারুণভাবে। মেসি, সুয়ারেজদের সামনে ছিলেন দুর্ভেদ্য দুর্গ।

    ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ৯/১০

    খুব সম্ভবত লিভারপুলের জার্সিতে তার সেরা ম্যাচ। জর্দি আলবার মত কিংবদন্তী পাত্তাও পাননি। ওরিগির শেষ গোলে দুর্দান্ত বিচক্ষণতার প্রমাণ দিয়েছেন।

    ভার্জিল ভ্যান ডাইক ৮.৫/১০

    রীতিমত দুর্গ। মেসি, সুয়ারেজকে এতটুকু জায়গা দেননি। সেটপিসেও ছিলেন দারুণ। 

    জোয়েল মাতিপ ৮/১০

    লিভারপুলের রক্ষণের 'আনসাং হিরো'। হলুদ কার্ড দেখেছেন, কিন্তু পুরো ম্যাচে ছিলেন নির্ভুল।

    অ্যান্ডি রবার্টসন ৮.৫/১০

    ইনজুরির কারণে প্রথমার্ধ শেষেই মাঠ ছেড়েছিলেন। কিন্তু ঐ অর্ধেই আবারও জাত চিনিয়েছেন। মেসিকে আটকানোর কাজটা করেছিলেন দারুণভাবে।

    জেমস মিলনার ৮/১০

    মাঝমাঠ থেকে সরে রক্ষণে খেলেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। আক্রমণে শাকিরিদের সাহায্য করেছেন অনেক। রক্ষণেও তার সাথে পেরে উঠেনি বার্সার ফরোয়ার্ড লাইন।

    জর্ডান হেন্ডারসন ৮/১০

    গ্ল্যাডিয়েটরে স্বরূপ পারফরম্যান্স। ইনজুরির কারনে উঠে যেতে পারতেন, কিন্তু আজকের ম্যাচে লিভারপুলের মৌসুমের অনেকটাই নির্ভর করছিল বলেই হয়তো থেকে গিয়েছিলেন। বুস্কেটস, রাকিটিচরা পাত্তাই পাননি তার কাছে।

    ফাবিনহো ৮.৫/১০

    পুরো ম্যাচে রক্ষণের ঠিক সামনে ব্যুহ গড়ে তুলেছিলেন। এতটাই দুর্দান্ত ছিলেন, প্রতি-আক্রমণ গুলোতেও তাকে ফাঁকি দিতে পারেনি বার্সা। 

    জেরদান শাকিরি ৭.৫/১০

    প্রথমার্ধে একেবারেই নিষ্প্রাণ ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ওয়াইনাল্ডামের গোলে ক্রসটা ছিল দুর্দান্ত। সময়ের সাথে স্বরূপে ফিরেছেন। সালাহর অভাবটা হয়তো পূরণ করতে পারেননি, তবে ক্লপের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন ঠিকই।

    ডিভোক ওরিগি ৯.৫/১০

    প্রথমার্ধে তার গোলেই স্বপ্ন দেখতে থাকে লিভারপুল। গতি, ড্রিবলিং, প্রেসিং দিয়ে বার্সার রক্ষণে রীতিমত ত্রাস ছড়িয়েছেন। ফাইনাল নিশ্চিত করা গোলটাও এসেছে তার পা থেকেই।

    সাদিও মানে ৮.৫/১০

    সালাহ-ফিরমিনোর অভাবে লিভারপুলের আক্রমণের ব্যাটন ছিল তার হাতেই। হতাশ করেননি একেবারেই, সার্জি রবার্তো-পিকেদের রীতিমত নাকানিচুবানি খাইয়েছেন।

     

    বদলি

    জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডাম ৯.৫/১০

    নিঃসন্দেহে ম্যাচসেরা। জোড়া গোল তো বটেই, মাঝমাঠেও ছিলেন দুর্দান্ত। রাকিটিচ-ভিদাল মিলেও দমানো যায়নি তাকে। লিভারপুলের ইতিহাসে তার নামটা ঢুকে গেল আজীবনের জন্য।

    জো গোমেজ /১০

    ম্যাচের মিনিট পাঁচেক আগে নেমেছিলেন। তেমন প্রভাব নেই খেলায়।

    ড্যানিয়েল স্টারিজ /১০

    নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে, নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি।

     

     

     

    বার্সেলোনা

     

    মার্ক আন্দ্রে টার-স্টেগান ৫/১০

    প্রথম এবং তৃতীয় গোলে তার ভুল ছিল স্পষ্ট। পিকেদের সাথে বোঝাপড়ার অভাবটা ছিল বেশ। ক্রস দখলে আনতে হিমশিম খেয়েছেন।

    সার্জি রবার্তো ৪.৫/১০

    একেবারেই ব্যর্থ আজ। মানে-ওরিগিদের গতি, ড্রিবলিংয়ের সাথে একেবারেই পেরে উঠেননি। আক্রমণে ছিল নিজের ছায়া হয়ে। 

    জেরার্ড পিকে ৪/১০

    ওয়াইনাল্ডামের দ্বিতীয় গোলে কেন হেডের জন্য লাফ দেননি, সেটা কেবল তিনিই বলতে পারবেন। সতীর্থদের মত লিভারপুলের প্রেসিংয়ের সামনে ছিলেন অসহায়।

    ক্লেমেন্ত লংলে ৪/১০

    শাকিরির সাথে পেরে উঠেননি। বেশ কয়েকবার ফাউল করেছেন। ডিবক্সে ক্রসে ছিলেন বেশ নড়বড়ে। 

    জর্দি আলবা ৪.৫/১০

    প্রথমার্ধে বার্সার সেরা দুই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তার জন্যই। আক্রমণের মত রক্ষণেও ছিলেন ব্যর্থ

    সার্জিও বুস্কেটস ৫/১০

    শেষ কবে মাঝমাঠে ঠিক এতটা অসহায় ছিলেন, বলা মুশকিল। কিন্তু ক্লপের 'হেভি মেটাল' ফুটবলের সামনে ভেঙ্গে পড়েছেন তাসের ঘরের মত।

    ইভান রাকিটিচ ৫/১০

    সবচেয়ে বেশিবার বল হারিয়েছেন আজ। আক্রমণে মেসি, সুয়ারজেদের পাস যোগাতে পারেননি।

    আর্তুরো ভিদাল.৫.৫/১০

    প্রথমার্ধে বেশ ভাল খেলেছেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি ব্যর্থ। মাঝমাঠে হেন্ডারসনদের সাথে পেরে উঠেননি। 

    লিওনেল মেসি ৬/১০

    বার্সার সেরা খেলোয়াড় আজ। কিন্তু কাজের কাজটা করতে পারেননি। আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে হতাশাজনক বিদায়।

    লুইস সুয়ারেজ ৩.৫/১০

    প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের সাথে দ্বন্দ্বে না জড়ালে তিনি যে খেলছেন, সেটা বলাই ছিল দায়। ভ্যান ডাইক রীতিমত পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন তাকে।

    ফিলিপ কুতিনিয়ো ৩/১০

    আবারও ব্যর্থ। ঠিক কী কারণে এখনও মূল একাদশে সুযোগ পাচ্ছেণ, বোধগম্য নয় একেবারেই।

     

    বদলি

    আর্থুর মেলো ৪/১০

    রাকিটিচদের মতই মাঝমাঠে ব্যর্থ। একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি।

    নেলসন সেমেদো ৪/১০

    লিভারপুলের গতিশীল ফরোয়ার্ডদের দমাতে তাকে নামিয়েছিলেন ভালভার্দে, কিন্তু কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। মিলনার, শাকিরিদের সাথে পেরে উঠেননি। 

    ম্যালকম /১০

    শেষ ১০ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।