• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ফুটবলকে ধন্যবাদ দিলেন পচেত্তিনো

    ফুটবলকে ধন্যবাদ দিলেন পচেত্তিনো    

    সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার আর কয়েক সেকেন্ড বাকি। শূন্য দৃষ্টিতে মাঠের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তেই অবিশ্বাস্যভাবে গোল করে টটেনহামকে ফাইনালে নিয়ে গেলেন লুকাস মউরা। উল্লাসে ছুটছেন টটেনহামের সবাই, অন্যদিকে কান্নায় ভেঙে পড়ে মাটিতেই বসে পড়লেন তাদের কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বললেন, এমন আবেগঘন ম্যাচের পর ফুটবলকেই ধন্যবাদ দিতে চান তিনি।

    প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল দল। দ্বিতীয় লেগে আয়াক্সের মাঠে প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করে টটেনহাম। এরপর মউরার জোড়া গোলে সমতা ফেরায় পচেত্তিনোর দল। ম্যাচের ৯৫ মিনিট পেরিয়ে গেলেও গোল পাচ্ছিল না টটেনহাম, আয়াক্সের ফাইনালে ওঠা তখন কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র। সেই মুহূর্তে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে টটেনহামকে আনন্দে ভাসান মউরা।

    আবেগে আপ্লুত পচেত্তিনো বলছেন, এমন জয়ের পর তাঁর অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না, ‘আসলে কী বলব বুঝতে পারছি না। খুবই আবেগি হয়ে পড়েছি। ফুটবলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার দলের সবাই অবিশ্বাস্য খেলেছে। তারা আমার কাছে নায়ক, আগের মৌসুমেও একই কথাই বলেছিলাম। ফুটবল একটা আবেগের নাম, এটা ছাড়া আমার জীবন কল্পনাই করতে পারি না। সব সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জনাতে চাই পুরোটা সময় আমাদের পাশে থাকার জন্য। আমার পরিবারকেও স্মরণ করছি, যারা মারা গেছেন তাদেরকে এই জয়টা উৎসর্গ করতে চাই।’

     

     

    যার হ্যাটট্রিকে ফাইনালে উঠল টটেনহাম, সেই মউরাতে মুগ্ধ পচেত্তিনো, ‘দলের সবাই নায়ক। কিন্তু মউরা আমাদের ‘সুপারহিরো’। তাঁর হ্যাটট্রিকটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। ফাইনাল খেলার যোগ্যতাটা দলের সবাই অর্জন করে নিয়েছে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে। ফাইনালে খেলাটা স্বপ্নের মতো। এখন শুধু ফাইনালের অপেক্ষায় আছি আমরা।'