সাকিবের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উদ্বেগমাখা অপেক্ষা বাংলাদেশের
ফিফটি করার ঠিক পরেই সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হঠাৎ কাতরে উঠলেন। রান পূর্ণ করে আর বসে থাকতে পারলেন না, কোমরের এক পাশ ধরে মাটিতে শুয়েই পড়লেন। মাঠে তখন ছুটে এসেছেন ফিজিও, সাকিব আল হাসান বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন তাঁর সঙ্গে। সম্ভবত ব্যথানাশক ঔষধও খেলেন, এরপর আবার চালিয়ে গেলেন খেলা। কিন্তু বেশিক্ষণ মাঠে থাকলেন না, খানিক পরেই নেমে গেলেন। আর সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে হৃৎকম্প তুলে দিলেন বাংলাদেশ ক্যাম্পে।
এখন পর্যন্ত আশার কথা হচ্ছে, টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের চোট গুরুতর কিছু মনে করছে না। কাল বৃহস্পতিবার পরীক্ষার পরেই জানা যাবে আসল অবস্থা, বোঝা যাবে আসলে কেমন চোট। তার আগ পর্যন্ত কিছু বলার উপায় নেই।
সর্বশেষ দেড় বছর ধরেই চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে সাকিবকে। গত বছর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে আঙুলে যে চোট পেয়েছিলেন, সেটি এমনকি সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে এসেও তাড়া করেছে। এর মধ্যে খেলতে পারেননি দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ, পরে ছিলেন না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবার হাজির স্বমহিমায়, এরপর বিপিএলেও দলকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। সেখানে আবার পেলেন চোট, নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই এবার ছিটকে গেলেন। বিশ্বকাপের আগে আবার ফিট হয়ে ফিরলেন, এবার পেশীর চোট। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম ম্যাচের বাকি সপ্তাদুয়েক। তার আগে ফিট সাকিবকে খুব করেই দরকার বাংলাদেশের।