সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল রিয়াল মাদ্রিদ
প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লেভান্তে এক গোল শোধ করলেও অস্বস্তি ভর করেনি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এডেন হ্যাজার্ডও বদলি হয়ে নেমেছিলেন এরপর। কিন্তু ৭৫ মিনিটে আরেক গোল হজম করে সহজ কাজটাই কঠিন বানিয়ে ফেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর অঘটন ঘটতে দেননি থিবো কোর্তোয়া। ৯১ মিনিটে লেভান্তে ডিফেন্ডার রুবেন ভেজোকে দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন রিয়াল গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত রিয়ালও জিতেছে ৩-২ গোলে।
রিয়ালের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান করিম বেনজেমার। তিন গোলের দুইটিই তার। অবশ্য হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে ম্যাচ। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশিরভাগ সময় জুড়ে ছিল তাদেরই দাপট। বেনজেমা একবার বারপোস্টে লেগে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হয়েছেন, গোলরক্ষক ফার্নান্দেজ একাধিকবার দারুণ কিছু সেভ করে দ্বিতীয়ার্ধে আটকে রেখেছিলেন ঘরের দলকে।
বার্নাব্যুতে রিয়ালের প্রথম গোলটা আসি আসি করছিল শুরু থেকেই। কিছুক্ষণ আগে একবার ফার্নান্দেজের দারুণ সেভে গোলবঞ্চিত হয়ে ২৫ মিনিটে সফল হন বেনজেমা। দানি কারভাহালের ক্রস থেকে হেড করে গোল করেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। ছয় মিনিট পর হামেস রদ্রিগেজের থ্রু পাস থেকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বেনজেমা করেন দ্বিতীয় গোল। লা লিগায় তাতে বেনজেমার গোল দাঁড়ায় চার ম্যাচে চার।
বিরতির পাঁচ মিনিট আগে কাসেমিরো আরেক গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন রিয়াল মাদ্রিদের। বিরতির পর অবশ্য আয়েশি ভাবটা ছিল না রিয়ালের। আক্রমণেই ব্যস্ত ছিল তারা। ৪৯ মিনিটে সাবেক রিয়াল ফরোয়ার্ড বোর্হা মায়োরাল গোল শোধ করার পর তাই সেটা খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি রিয়ালের জন্য।
ম্যাচের সময় ঘন্টার কাঁটা ছোঁয়ার সময় দুই নতুনকে সুযোগ দেন জিদান। এডেন হ্যাজার্ড ও এডার মিলিতাও দুইজন নামেন একসঙ্গে। মাঠে নামার ছয় মিনিট পরই সেই ফার্নান্দেজের কাছে গোলবঞ্চিত হন হ্যাজার্ড। অভিষেকে অবশ্য এরপর আর বলার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি হ্যাজার্ড। এর মধ্যে একবার ভিনিসিয়ুস গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেটা, রিয়ালের কাজটা তাই আর সহজ হয়নি শেষে।
৭৫ মিনিটে লেভান্তের শর্ট কর্নার থেকে ফারপোস্টে হেডে গোল করেন গঞ্জালো মেলেরো। রিয়ালের জন্য শেষ ১৫ মিনিট স্নায়ুক্ষয়ী যাবে সেটা নির্ধারণ হয়ে যায় তখনই। ম্যাচ শেষের ৭ মিনিট আগে বেনজেমার বদলি হয়ে মাঠে নামেন লুকা ইয়োভিচও। তবে এরপর আর সেভাবে রিয়ালের আক্রমণ ভীতি চড়ায়নি লেভান্তেকে। বরং লেভান্তেই তিন গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক ফিরে আসার গল্প লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ৯১ মিনিটে গিয়ে যেটা কোর্তোয়া দারুণ সেভে আটকে গেল।
লা লিগায় চার ম্যাচে এই নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। ৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় তাদের অবস্থান দুইয়ে।