• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগেঃ পিএসজি-রিয়াল দ্বৈরথে চোট, নিষেধাজ্ঞার ছায়া

    কিক অফের আগেঃ পিএসজি-রিয়াল দ্বৈরথে চোট, নিষেধাজ্ঞার ছায়া    

    কবে, কখন 
    পিএসজি-রিয়াল মাদ্রিদ 
    প্রাক ডি প্রিন্সেস

    চ্যাম্পিয়নস লিগ, গ্রুপ 'এ'

    পিএসজির জন্য নতুন শুরু। নতুন শুরু রিয়াল মাদ্রিদের জন্যও। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাকি ৩১ দল থেকে পিএসজিকে আলাদা করে ফেলা যায় সহজেই। ফ্রেঞ্চ লিগে একক আধিপত্য। কিন্তু দলবদলে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করা পিএসজির লক্ষ্য অবধারিতভাবেই ফ্রান্স নয় ইউরোপে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু সেখানে বরাবরই ব্যর্থ তারা। গতবার নাটকীয় ব্যর্থতায় টানা তৃতীয়বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল পিএসজি। 

    সেই পিএসজি আর এখনকার পিএসজির চেহারায় পরিবর্তন নেই তেমন। গোলরক্ষক বদলেছেন, কেইলর নাভাস এসেছেন। যিনি রিয়ালের জার্সি খুলেছেন আড়াই সপ্তাহ আগে। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচই তাকে তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। নাভাস পিএসজির শক্তি বাড়িয়েছেন, স্থিতিশীলতাও দিয়েছেন। আর বাকি সব পজিশনে মোটামুটি আগের খেলোয়াড়েরাই আছেন পিএসজিতে। 

    বহু নাটকের পর নেইমার থেকে গেছেন ক্লাবে। যদিও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘরের মাঠে বাদ পড়ার রাতে রেফারিকে গালমন্দ করে পড়ে তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন নেইমা। নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচ কমেছে তার। লিগ আনে নিজের প্রথম ম্যাচে দুয়ো শুনেও শেষে স্ট্রসবুর্গের বিপক্ষে দলকে জেতানো নেইমারের তাই খেলা হচ্ছে না রিয়ালের বিপক্ষে। 

    পিএসজির সমস্যা আছে আরও। নেইমারের পর দলের পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও ইনজুরিতে। একই কারণে খেলছেন না এডিনসন কাভানিও। তাই অ্যাটাকিং থার্ডে ত্রয়ীর দেখা মিলছে না। তবে মাউরো ইকার্দি আছেন। পিএসজির হয়ে একাদশে অভিষেক হয়ে যেতে পারে তার।

    আপাতত পিএসজির লক্ষ্য অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। অর্থাৎ দ্বিতীয় রাউন্ডের গেরোটা কাটানো। গ্রুপ পর্বে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ তাই একটা ভালো অনুশীলনের সুযোগও পিএসজির জন্য। গত দুইবারই গ্রুপ পর্বে রেকর্ড সংখ্যক গোল দিয়েও নকআউটের প্রথম পর্বেই বাদ পড়েছে পিএসজি। থমাস তুখল ভালো করেই জানেন এটা হয়ত শেষ সুযোগ তার। রিয়ালের বিপক্ষে ভালো ফল দিয়ে সামর্থ্যের একটা প্রমাণ দিয়ে রাখাও জরুরী তার জন্য। 

     

     

    জিনেদিন জিদানের দলের অবস্থাও কিছুটা নড়বড়ে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ক্লাব ছাড়ার পর দলে সৃষ্টি হওয়া অস্থিতিশীলতাটা নতুন মেয়াদে এসে ফেরাতে পারেননি জিদানও। লা লিগায় শেষ ম্যাচে প্রথম ৪০ মিনিটে ৩ গোল দিয়েও শেষ পর্যন্ত লেভান্তের কাছে আরও দুই গোল হজম করে বসে রিয়াল। শেষ পর্যন্ত সহজ কাজ কঠিন করে ম্যাচটা অবশ্য জিতেছিল তারা। লিগে সবমিলিয়ে চার ম্যাচে দুই জয় আর দুই ড্র- জিদানের দলের অনিশ্চিয়তার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। 

    এর ভেতর ইনজুরির সমস্যা তো আছেই। মার্সেলো, লুকা মদ্রিচ যেমন খেলছেন না প্যারিসে। এডেন হ্যাজার্ডের ফিটনেস নিয়ে এখনও সংশয়ে জিদান। দলের সঙ্গে অবশ্য তিনি প্যারিসেই গেছেন, তবে একাদশে তাকে রাখার সম্ভাবনা কমই।    

    জিদান চ্যাম্পিয়নস লিগে ডাগ আউটে থাকছেন প্রায় দেড় বছর পর। সবশেষ ছিলেন কিয়েভের ফাইনালে। টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে কিংবদন্তীর আসনে আগেই বসেছিলেন, এবার আবারও ফিরছেন তিনি নতুন মৌসুমে পুরনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে। 

    দলের খবর
    নেইমার, এমবাপ্পে, কাভানির অনুপস্থিতিতে নতুন আশা সারাবিয়া, ইকার্দি ও চুপো মটিংয়ের ওপর ভরসা রাখার কথা টুখলের। হুলিয়ান ড্রাক্সলারের ফিটনেস নিয়ে সংশয় আছে। শেষ মুহুর্তে ফিটনেস টেস্ট উতরে গেলে বদলি হিসেবে থাকতে পারেন তিনি দলে। 

    রিয়াল মাদ্রিদ ইনজুরি সমস্যায় জর্জরিত। লেভান্তের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন সার্জিও রামোসও। স্পাইনাল ইনজুরির কারণে থাকছেন না মার্সেলো। আক্রমণে চাপ খানিকটা বেশিই থাকছে গ্যারেথ বেলের ওপর। তবে তিনি নতুন মৌসুমটা দুর্দান্তভাবে শুরু করেছেন। জিদানকে তাই ভরসা করতে হচ্ছে যাকে তিনি তাড়াতে চেয়েছিলেন, সেই বেলের ওপরই। 
       
    সম্ভাব্য একাদশ 
    পিএসজি 

    নাভাস, মুনিয়ের, সিলভা, দিয়ালো, কুরাযজাওয়া, ভেরাত্তি, গায়ে ডি মারিয়া, সারাবিয়া, চুপো-মটিং, ইকার্দি 
    রিয়াল মাদ্রিদ 
    কোর্তোয়া, কারভাহাল, ভারান, মিলিতাও, মেন্দি, কাসেমিরো, রদ্রিগেজ, ক্রুস, বেল, ভিনিসিয়ুস, বেনজেমা

    হেড টু হেড
    জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজির তিন জয়ের বিপরীতে তাদের চারটি। সবশেষে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে পিএসজিকে হারিয়েছিল রিয়াল। দুইদল একই গ্রুপে ছিল ২০১৫ সালেও, প্যারিসে সেবার খেলা শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। পড়ে মাদ্রিদে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল রিয়াল।    


    প্যাভিলিয়ন প্রেডিকশনঃ পিএসজি ১-১ রিয়াল মাদ্রিদ