'টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে স্বাগতিকরা পিচের বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না'
তিন বছর আগে যখন ভারত সফরে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই টেস্টেই তিনদিনের মাঝে হেরেছিল তারা। এবার বিশাখাপত্তনমে সিরিজের প্রথম টেস্ট গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলছেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণেই ঘরের মাঠে বেশি সুবিধা নিচ্ছে না কোনো দলই।
২০১৫ সালে ভারতের স্পিনে নাকানি চুবানি খেয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেবার অবশ্য নাগপুরের পিচ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, সেটাকে নিম্নমানের বলেছিল খোদ আইসিসিই। ২০১৭ সালে যখন ফিরতি সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা যায় ভারত, যখন ওয়ান্ডারার্সে সুবিধা করতে পারেনি বিরাট কোহলিরা। এই ভেন্যুকেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে আইসিসি।
ডু প্লেসি বলছেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে নাগপুর কিংবা ওয়ান্ডারার্সের মতো পিচ আর তৈরি হবে না, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে পিচের ব্যাপারটায় বড় পরিবর্তন এসেছে। অতীতে নিম্নমানের পিচ থাকে শুধু সতর্ক করা হতো, এখন ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয় ভেন্যুকে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী, নিম্নমানের পিচের কারণে যদি ম্যাচ বাতিল হয়, তাহলে স্বাগতিক দলই পয়েন্ট হারাবে। ডু প্লেসি তাই মানছেন, স্বাগতিক দলগুলোর জন্য পিচ বড় একটা বিষয়, ‘ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভারতের মাটিতে সবসময়ই কঠিন পিচের মুখোমুখি হতে হয় সফরকারী দলকে। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মের জন্য ভারত পিচের কারণে পয়েন্ট হারাতে চাইবে না। ২০১৫ সালে যেমন পিচ ছিল, এবার সেরকম দেখা যাবে না।’
বিশাখাপত্তনমের চেয়ে পুনের পিচে একটু বেশি টার্ন থাকতে পারে, ধারণা করছেন ডু প্লেস, ‘পিচ দেখে মনে হচ্ছে এখানে স্পিন বেশি ধরবে। আমি পিচ বিশেষজ্ঞ নই, তবে আগের টেস্টের চেয়ে এখানে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। আমরা ভাবছি কীভাবে ভারতের ২০ উইকেট নেওয়া যায়। প্রথম টেস্টে আমরা সেটা করতে পারিনি, পরের টেস্টে এমনটা হোক এটা চাই না। পিচে স্পিন ধরবে, সেই হিসেবেই বোলিং আক্রমণ সাজাবো আমরা।’