বর্ণবাদের ঘটনায় সরে দাঁড়ালেন বুলগেরিয়া ফুটবলের প্রেসিডেন্ট
ইংল্যান্ড-বুলগেরিয়ার ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল স্টেডিয়ামের দর্শকের বর্ণবাদী স্লোগান। এই কারণে ম্যাচ দুইবার বন্ধ করতেও বাধ্য হয়েছিলেন রেফারি। ম্যাচের পর বুলগেরিয়া সমর্থকদের বর্ণবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইংলিশ ফুটবলাররা। নিজ দেশের সমর্থকদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন বুলগেরিয়া প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভও। তিনি বুলগেরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বরিস্লভ মিখাইলভকে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায় সারা দিয়েই পদ ছাড়ছেন মিহাইলভ।
বুলগেরিয়ায় বর্ণবাদ; ইংল্যান্ডের জবাব (ভিডিও)
বর্ণবাদী স্লোগান ও নাৎসি স্যালুটকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তপ্ত ছিল ইংল্যান্ড-বুলগেরিয়া ম্যাচ। দর্শকের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি খোদ বুলগেরিয়ান অধিনায়ক ইভেলিন পোপভও। বিরতির সময় মাঠ ছাড়ার আগে কয়েকজন সমর্থকের সাথে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়েছে তার। বুলগেরিয়ার কোচ ক্রাসিমির বালাকোভ অবশ্য ম্যাচের পর বলেছেন, তিনি কোনো বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে পাননি।
যে নাৎসি স্যালুটে উঠেছে বিতর্ক
স্টেডিয়ামের দর্শকের ঐ আচরণ নজর এড়ায়নি দেশটি প্রধানমন্ত্রীরও। ম্যাচের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বরিসভ। যতক্ষণ মিখাইলভ দায়িত্ব না ছাড়েন, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক স্থগিত রাখার হুমকিও দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথার পর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বুলগেরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মিখাইলভ। এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে এটা নিশ্চিত করে সংস্থাটি, ‘মিখাইলভ তার পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। শুক্রবার তিনি বোর্ড মিটিংয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এই পদে না থাকলেও তিনি বুলগেরিয়ার ফুটবলের জন্য কাজ করে যাবেন।’
এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দর্শকের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ইউয়েফা। তদন্তের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বুলগেরিয়া কোনো শাস্তি পাবে কিনা। বুলগেরিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের পর ইংলিশ সমর্থকের দুয়ো নিয়েও ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনকে কারণ দর্শাতে বলেছে ইউয়েফা।