'কলপ্যাক চুক্তির কারণে সেরা একাদশ নির্বাচন করতে পারছে না দ.আফ্রিকা'
গত কয়েক বছরে কলপ্যাক চুক্তি কেড়ে নিয়েছে অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারকে। দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে হারানোর প্রভাবটা বেশ ভালোভাবেই পড়েছে প্রোটিয়াদের পারফরম্যান্সে। ভারতের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও জানালেন, কলপ্যাক চুক্তির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের সেরা দলটা বাছাই করতে পারছে না। ব্রেক্সিট চুক্তি হলে এই সমস্যা কমবে বলেও আশা করছেন ডু প্লেসি।
মরনে মরকেল, ডুয়াইন অলিভিয়ার, কাইল অ্যাবট, সাইমন হ্যামার আগেই কলপ্যাক চুক্তি করেছেন। কিছুদিন আগে কাউন্টি ক্লাব সারের সাথে এই চুক্তি করেছেন হাশিম আমলাও। টেস্টে ভারতের কাছে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ডু প্লেসির কণ্ঠে ঝড়ল কলপ্যাক নিয়ে হতাশা, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে আমরা সেরা একাদশ নির্বাচন করতে পারিনা। সাইমন হ্যামার দারুণ ফর্মে ছিল। সে বিদেশের মাটিতেও ভালো খেলছিল। কিন্তু সে কলপ্যাক চুক্তিতে আছে। এসব কারণে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেটারকেই দলে নিতে পারছি না। আমাদের গণ্ডিটা ছোট হয়ে আসছে। এটা বন্ধ করার অনেক চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু সেটা করা অনেক কঠিন।’
ডু প্লেসির এই আউটটাই যেন প্রোটিয়াদের বর্তমান অবস্থার প্রতিচ্ছবি
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, আমলা-মরকেলদের দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলাও হতাশ করছে ডু প্লেসিকে, ‘কলপ্যাক চুক্তির কারণে আমলা-মরকেলদের মতো ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছে না। তাদের অভিজ্ঞতাটাও হারাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। ঘরোয়া লিগে তরুণরা তাদের থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারত। তাদের সাথে খেলাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। এসব ব্যাপার সবসময়ই আমাদের চিন্তিত করে তুলছে। টাকা অবশ্যই একটা বড় ইস্যু। কিন্তু এসবের জন্য আমরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের হারাচ্ছি প্রতিনিয়তই।’
ইংল্যান্ডের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তি ছাড়াই যদি ব্রেক্সিট হয়, তাহলে ২০২১ সালের পর উঠে যেতে পারে কলপ্যাক চুক্তি। সেই আশাতে থাকলেও কাউন্টি দলগুলো অন্য কোন উপায় বের করবে বলেই আশংকা ডু প্লেসির, ‘ব্রেক্সিটের পর হয়তো সমস্যাটা কমে আসবে। এটা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকে অনেক সাহায্য করবে। কিন্তু কাউন্টি দলগুলো অন্য কোনো উপায় বের করতে পারে ক্রিকেটারদের নিজেদের দলে টানার জন্য।'