লুক্সেমবার্গের মাঠকে 'আলুর ক্ষেত'-এর সাথে তুলনা করলেন রোনালদো
লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে জোড়া গোল করলেই মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের ‘সেঞ্চুরি’ করতেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইউরো ২০২০-এর শেষ বাছাইপর্বের ম্যাচে রোনালদো গোল পেয়েছেন একটি। জিতলেও ম্যাচ শেষে লুক্সেমবার্গের মাঠের সমালোচনা করেছেন রোনালদো। লুক্সেমবার্গের মাঠকে আলুর ক্ষেতের সাথে তুলনা করেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের কাছে লুক্সেমবার্গের জোসি বার্থেল স্টেডিয়াম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন রোনালদো, “এরকম মাঠে খেলা বেশ কঠিন। মাঠটা আসলে একটা আলুর ক্ষেত ছিল। আমি ঠিক জানি না আমাদের পর্যায়ের দলগুলোর এসব মাঠে কীভাবে খেলা পড়ে। ম্যাচটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না একেবারেই, কিন্তু আমরা আমাদের কাজ করেছি। মূলপর্ব নিশ্চিত করেছি, এখন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মুখিয়ে আছি আমি।”
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে জুভেন্টাস ম্যানেজার মরিজিও সারির সাথে তার সম্পর্কের ফাটলের খবরে সরব ছিল সংবাদমাধ্যম। লোকোমোটিভ মস্কো এবং এসি মিলান- পরপর দুই ম্যাচে তাকে উঠিয়ে নেওয়ায় মাঠ ছাড়ার আগে সারির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো। সারি অবশ্য মিলানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই রোনালদোকে উঠিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে ইনজুরির কথাই বলেছিলেন সারি। ইউরো মূলপর্ব নিশ্চিত করার পর একই কথা বলেছেন রোনালদোই, “গত তিন সপ্তাহ ধরেই ইনজুরি নিয়ে খেলছি। কিন্তু এখানে কোনো বিতর্ক নেই। সেটা আপনারাই (মিডিয়া) তৈরি করেছেন।"
"কেউই বদলি হয়ে মাঠ ছাড়তে চায় না। আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি একই। কিন্তু আমি শারীরিকভাবে এখনও শতভাগ ফিট নই, সেজন্যই আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি দলের জন্য নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছি। আমরা ইউরোর মূলপর্বের টিকেট হাতছাড়া করতে পারতাম। এই ইনজুরি আমাকে প্রতি ম্যাচে শতভাগ দেওয়ার পথে বাধ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আমি সবসময়ই খেলার চেষ্টা করি। তারা (মিডিয়া) বিনা কারণেই বেশ বড়সড় একটা বিতর্ক তৈরি করেছিল যেখানে সেরকম কিছুই হয়নি। আমি শীঘ্রই শতভাগ ফিট হয়ে উঠব।”
লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ৯৯-এ আটকে গেছেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে গোলের দিক দিয়ে তার সামনে আছে কেবল ইরানের আলি দাইয়ি। রোনালদো বলেছেন; দাইয়ির রেকর্ড ভেঙে দেবেন তিনি, “শততম গোল আসবেই, এটা নিয়ে চিন্তিত নই আমি। রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। ঐ রেকর্ডটাও (আলি দাইয়ি) আমি ভেঙে দেব সামনেই।”